বিজেপি কি পারবে কলকাতায় আধিপত্য কায়েম করতে
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই কলকাতাকে নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। আর সরকারে আসার পরও ২০১৬-র নির্বাচনে কলকাতায় তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের ভিত একটু হলেও নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। এখন সেই ভিত নড়িয়ে কি বিজেপি পারবে আধিপত্য কায়েম করতে।
কলকাতায় তৃণমূল ভিত নড়িয়ে দেওয়াই বিজেপির লক্ষ্য
২০২১-এর ভোটের প্রাক্কালে কলকাতায় আধিপত্য বিস্তার করতে চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপি। বিজেপি কলকাতার হিন্দি বলয় বলে পরিচিত বড়বাজার-জোড়াসাঁকো চত্বরে অবাঙালি ভোটকে টার্গেট করেছে। এমনকী অবাঙালি ভোটকে টার্গেট করে ভবানীপুরেও নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। সেই মনের বল থেকেই এবার কলকাতায় তৃণমূল ভিত নড়িয়ে দেওয়াই বিজেপির লক্ষ্য।
তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির রণকৌশলে কী কী থাকছে
বিজেপি সেইজন্য যেমন অবাঙালি ভোটকে টার্গেট করেছে, তেমনই তাদের রণকৌশলে হিন্দি বলয়ের আবেগকেও উসকে দিচ্ছে। ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলে বিজেপি কাজ হাসিল করতে চাইছে কলকাতায়। হিন্দুত্বের জিগির তুলে বিজেপি ফায়দা লুটতে চাইছে। কলকাতা পুরসভা পরি্চালনায় তৃণমূলের ব্যর্থতাও তারা তুলে ধরতে চাইছে।
তৃণমূল-ত্যাগী শুভেন্দু-রাজীবকে ব্যবহার বিজেপির
কলকাতার ভোট ফায়দা লুটতে তৃণমূল-ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাঁদের দিয়ে ছোট ছোট সভা করা হচ্ছে। কেন তারা তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেই ব্যাখ্যায় তৃণমূলীদের ভাঙিয়ে আনার কাজও চালানো হচ্ছে সন্তর্পণে। তৃণমূলকে পিসি-ভাইপোর পার্টি বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তাঁরা।
কলকাতাবাসীর আবেগে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলকে হারানোর কৌশল
মোট কথা, কলকাতাবাসীর মন গলাতে শুভেন্দু-রাজীবদের ব্যবহার করছে বিজেপি। কলকাতাকে লন্ডন বানানোর যে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা তুলে ধরে কুৎসার পাশাপাশি ফের প্রশাসনিক ভবন হাওড়া থেকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় এলে। কলকাতাবাসীর আবেগে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলকে হারাতে কৌশল এঁটেছে বিজেপি।