কলকাতা : রাজ্যের মানুষ করোনা সংক্রমণে মৃত্যু মিছিলে সামিল হচ্ছে। আর সেই করোনার চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য জুড়ে রাজনীতি চলছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ট্যুইট করে বলেছেন, বাংলায় ক্ষমতায় এলে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দিলীপ ঘোষ তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, “বাংলায় ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে দেওয়া হবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন”।
তবে আগেই রাজ্যবাসীদের বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও জানান, ৫ মে থেকে রাজ্যের সবাইকে নিখরচায় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন চলছে। আট দফায় ভোটগ্রহণের পর গণনা ২ মে। এদিন ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ”বিজেপি এক দেশ, এক দল, এক নেতার কথা বলে। কিন্তু, মানুষের জীবন বাঁচাতে তারা কখনও ভ্যাকসিনের এক দাম হোক বলে না।” তবে মানুষের করোনা সংক্রমণে জটিল পরিস্থিতিতে পড়া নিয়েও যে রাজনীতি করা যায় সেটা বঙ্গরাজনীতির নেতানেত্রীরা বুঝিয়ে দিলেন তাদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে। বিশিষ্টরা বলছেন, “যে পরিষেবা সরকারের কাছে মানুষের প্রাপ্য, সেটা নিয়ে এখন রাজনীতিকরা মানুষকে প্রলুব্ধ করছেন?”
দিলীপ ঘোষের ট্যুইটের জবাবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “ওদের এখন করার কিছু নেই। তাই ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুকরণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বলে আসছেন রাজ্যের সব মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”
তবে রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের এই ট্যুইট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, “রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় যারাই আসুন তাদের দায়িত্ব মানুষের এই বিপদের দিনে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে মানুষের পাশেই দাঁড়ানো। ততাই যেই রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসুক তাদের দায়িত্ব বিপন্ন মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। সেটা ভোটার প্রচারে এনে দিলীপ ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক কাজ করছেন না। এসব বলার আগে তাঁদের ভাবা উচিত তাঁরা যাদের ভোট ক্ষমতায় আসবেন বলে ভাবছেন তাদেরই পরিষেবা দেওয়ার নামে প্রলুব্ধ করছেন। বাংলার মানুষ কী এতোই হালকা? এটা রাজনীতিকরা বুঝবেন কবে?”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.