চেন্নাইয়ে মুম্বই-বধ, রাহুলের অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে ফের জয়ের মুখ দেখল পাঞ্জাব

তিন ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল পাঞ্জাব কিংস। চেন্নাইয়ের চিপকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৯ উইকেটে হারাল লোকেশ রাহুলের পাঞ্জাব কিংস। ১৪ বল বাকি থাকতেই এলো জয়। তিনটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৫২ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৫ বলে ৪৩ করে অপরাজিত থাকেন গেইল। চিপকের এই উইকেটে দেড়শো বা ১৬০ তুললে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ারপ্লে ব্যাটিংকেও হারের জন্য দায়ী করেছেন রোহিত। তবে কৃতিত্ব দিয়েছেন পাঞ্জাব বোলারদের। পাঞ্জাবের মতো ব্যাটিং করতে না পারার হতাশাও ধরা পড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের গলায়। এই জয়ের ফলে পাঁচে উঠে এল পাঞ্জাব কিংস। সমসংখ্যক পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে চারে রইল মুম্বই।

(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)

জয়ের জন্য ১৩২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ঝোড়ো শুরু করেন পাঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল। পাওয়ারপ্লে-তে প্রথম ৬ ওভারের নিরিখেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। প্রথম ছয় ওভারে মুম্বই যেখানে ১ উইকেট হারিয়ে ২১ তুলেছিল, সেখানে পাঞ্জাবের স্কোর ৬ ওভারে ছিল বিনা উইকেটে ৪৫। ম্যাচের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে পাঞ্জাবের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ফর্মে থাকা রাহুল চাহার। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে তিনি তুলে নেন ময়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ২৫ রান করে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ময়াঙ্ক।

(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)

ময়াঙ্ক ফেরার পর ক্রিস গেইলকে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাহুল। ১০ ওভারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রান যেখানে ছিল ২ উইকেটে ৪৯, সেখানে পাঞ্জাব কিংস ১০ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৬২। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া তেমন ছন্দে না থাকলেও দুই স্পিনার রাহুল চাহার ও জয়ন্ত যাদব কিছুটা হলেও রানের গতিতে রাশ টানতে সক্ষম হন। চার ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট পান চাহার। পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেটশিকারীর তালিকায় দুই নম্বরে রইলেন তিনি।

(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)

৫৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর লোকেশ রাহুল আর ক্রিস গেইলের জুটিই পাঞ্জাবকে টার্গেটে পৌঁছে দেয়। দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দেন গেইল। তারই মধ্যে আইপিএলে ২৪তম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন রাহুল। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেও তাঁর আইপিএল অর্ধশতরানগুলির মধ্যে এটিই সবচেয়ে মন্থর।

এর আগে, চেন্নাইয়ের চিপকে চ্যালেঞ্জিং উইকেটে টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩১ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে সর্বাধিক ৬৩ রান করেন রোহিত শর্মা। ২৭ বলে ৩৩ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়। ১২ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কায়র পোলার্ড। কুইন্টন ডি কক ৩, ঈশান কিষাণ ৬, হার্দিক পাণ্ডিয়া ১ ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৩ রানে আউট হন।

শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। মুরুগান অশ্বিনের বদলে এই ম্যাচে প্রথম একাদশে এসে চার ওভারে ২১ রান খরচ করে ঈশান ও সূর্য-র উইকেট তুলে নেন রবি বিষ্ণোই। পাওয়ারপ্লে-তে অসাধারণ বোলিং করে ডি কককে ফেরান দীপক হুডা। তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিনি এক উইকেট নেন। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। শামি ফেরান রোহিত ও ক্রুণালকে। হার্দিককে আউট করেন অর্শদীপ সিং। বোলিং ওপেন করে উইকেট না পেলেও পাওয়ারপ্লে-তে ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দেন মোজেস হেনরিকস।