অক্সিজেনের জন্য ছটফট করছেন রোগীরা, রাজ্য থেকে অন্যত্র অক্সিজেন না পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে আর্জি

করোনা বাড়ছে দাবানলের মতো। গোটা রাজ্যে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছেন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন অন্যত্র পাঠানো বন্ধ হোক। কেন্দ্রকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানাল রাজ্য সরকার। বাংলায় হত ২৪ ঘণ্টা ১১ হাজারের ও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আজ মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা শাসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে। করোনা পরিস্থিতি মেকাবিলায় সব হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। হাসপাতালে বেড না থাকলে অন্য হাসপাতালে যোগাযোগ করিয়ে দিতে হবে।

কোভিড নিয়ে বৈঠক

আজ করোনা বিধ্বস্ত ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল অক্সিজেন সংকট। কীভাবে অক্সিজেনের সংকট মোকাবিলা করা যায় তা নিয়েইমূলত আলোচনা হয়েছে। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে দেশে। দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে সব সরকারি হাসপাতালে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সব রাজ্যগুলিকেই সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অক্সিজেন সংকট রাজ্যে

অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতে ও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে রাজ্যে। তার জেরে তীব্র অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য থেকে অন্যত্র অক্সিজেবন পাঠানো বন্ধের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছে শিল্পের কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যহরা করা হচ্ছে।

জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল গুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। অক্সিজেনের যোগাব ঠিক থাকছে কিনা সেদিকে নজর গিতে বলা হয়েছে। জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন মুখ্য সচিব।

এর আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দুই দফায় জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব।

মমতার পথেই মোদী! ক্ষমতায় আসলেই বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন, টুইটে ঘোষণা বাংলার বিজেপির

কেন্দ্রই দায়ী

দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেওয়ার জন্য দায়ী কেন্দ্রই। প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন মমচা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন বাংলাকে দখল করতে গিয়ে গোটা দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন মোদী। কমিশন অনেক দেরিতে পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গুজরাতের পার্টি অফিসে বসে নাকি ঠিক করা হচ্ছে কোথায় কত অক্সিজেন যাবে। বাংলার অক্সিজেন চেন উত্তর প্রদেশকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মমতা।