কলকাতা : রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ রাজ্য প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। হাসপাতালে বেডের ঘাটতিতে চিকিৎসা পরিকাঠামো বিপর্যস্ত হওয়ার দিকে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ৫ হাজারের বেশি বেড বাড়াল রাজ্য সরকার। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার দুর্গাপুর থেকে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকার সজাগ রয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে সেফ হোমের সংখ্যা।
তবে যাদের করোনা সংক্রমণের ফলে সঙ্কটজনক অবস্থা হয়নি, তাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, যাদের চিকিৎসা বাড়িতে বা সেফ হোমে করার মতো অবস্থা আছে তারা হাসপাতালে ভর্তি হলে হাসপাতালে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর জন্য বেডের সমস্যা হতে পারে। তাই তিনি অযথা হাসপাতালে টাকা দিয়ে বেড আটকে রাখতে নিষেধ করেছেন।
প্রসঙ্গত রাজ্যে চিকিৎসা পরিকাঠামো করোনা সংক্রমণের এই প্রবল ঝাপটায় অনেকটাই সমস্যায় পড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। তাই উত্তীর্ণ, গীতাঞ্জলি, কিশোরেভারতী স্টেডিয়ামে সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৭৬ জন নতুন করে করোনা সংক্রমণের আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৯ জন। শুধু কলকাতায় ২৪ ঘন্টাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৮৩০ জন, এটাই রাজ্যে শীর্ষে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো জরুরি বলেই রাজ্য সরকার সেই কাজ করেছে।
কলকাতায় ১৫০০ বেডের সেফ হোম চালু করা হচ্ছে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে। এর পাশাপাশি রাজ্যের ৪৯টি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যের ৪৯টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৬৭৩টি বেড বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ১০০টি করে এবং প্রতিটি জেলা, মহকুমা এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ৫০টি করে বেড কোভিড চিকিৎসার জন্য বেড বাড়ানো পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে আগামী সাত দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০টি CCU বেড চালু কর হতে চলেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.