ভারতীয়দের আয় ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অনেকটাই নেমে গিয়েছে
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টার নামক এক মার্কিন সংস্থা তাদের গবেষণা রিপোর্টে বলেছে, প্রথম করোনা-লকডাউনের ধাক্কায় ভারতে দারিদ্র বেড়ে গিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। লকডাউনে ভারতীয়দের আয় ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অনেকটাই নেমে গিয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে নেমে এসেছে বিপর্যয়। ফলে কাজ হারিয়েছে অগণিত মানুষ।
করোনার প্রথম স্ট্রেনের বর্ষপূর্তি হতে না হতে দ্বিতীয় ঢেউ
করোনার প্রথম স্ট্রেনের বর্ষপূর্তি হতে না হতে দেশে আছড়ে পড়েছে দ্বিতীয় স্ট্রেনের ঢেউ। আর এবার এতটাই হঠাৎ এবং মহামারী রূপে করোনা এসেছে যে সংক্রমণ কোনও বাধ মানছে না। ভারতই এখন দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে। এই অবস্থায় আরও ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভীতি রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আয় অনুযায়ী পাঁচটি ভাগে বিভক্ত ভারতীয়রা
মার্কিন গবেষণা সংস্থা ভারতীয়দের আয় অনুযায়ী পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছে। ১) দরিদ্র, যাঁদের আয় দৈনিক ২ ডলারের কম। ২) নিম্ন মধ্যবিত্ত, যাঁদের আয় দুই ডলারের ঊর্ধ্বে এবং ১০ ডলার পর্যন্ত। ৩) মধ্যবিত্ত, যাঁদের আয় ১০ ডলারের ঊর্ধ্বে ২০ ডলার পর্যন্ত, ৪) উচ্চ মধ্যবিত্ত, যাঁদের আয় ২০ ডলারের ঊর্ধ্বে ৫০ ডলার পর্যন্ত। ৫) ধনী বা উচ্চ আয় সম্পন্ন অর্থাৎ যাঁদের আয় দৈনিক ৫০ ডলারের উপরে।
দরিদ্র বেড়েছে দ্বিগুমেরও বেশি, মধ্যবিত্তরাই বেশি সংকটে
সমীক্ষায় প্রকাশ দৈনিক ২ ডলারের নিচে উপার্জনকারীদের অর্থাৎ দরিদ্র শ্রেণির মানুষের সংখ্যা করোনার লকডাউনে ৬ কোটি থেকে বেড়ে ১৩.৪ কোটি হয়েছে গিয়েছে। অর্থার বেড়েছে প্রায় সাড়ে সাত কোটি। আর মধ্যবিত্তের সংখ্যা ৯.৯ কোটি থেকে নেমে ৬.৬ কোটি হয়ে গিয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্যবিত্তরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্থনীতির হাল হবে শোচনীয়
গবেষণা রিপোর্ট বলছে, উচ্চবিত্তদের সংখ্যাও কমেছে। তবে অপেক্ষাকৃত অনেকটাই কম। এরই মধ্যে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। মে মাসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রমে না এলে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে এই গবেষণায়। দেশের অর্থনীতির হাল শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছে যাবে।