নয়াদিল্লি: মারণ ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ব়ড় ছেলে আশীষ ইয়েচুরি। পেশায় সাংবাদিক আশীষ বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।বৃহস্পতিবার সীতারাম নিজেই টুইট করে তাঁর সন্তানের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি করোনার কারণে আমি আমার বড় ছেলে আশিষ ইয়েচুরিকে হারিয়েছি। নার্স, চিকিৎসক, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই’।’
It is with great sadness that I have to inform that I lost my elder son, Ashish Yechury to COVID-19 this morning. I want to thank all those who gave us hope and who treated him – doctors, nurses, frontline health workers, sanitation workers and innumerable others who stood by us.
— Sitaram Yechury (@SitaramYechury) April 22, 2021
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী আশিষ ইয়েচুরি দুসপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। গুরুগ্রামের মেদন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি সম্প্রতি এই রোগ থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫ টায় হঠাৎই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তারপরেই মারা যান। আশিষ ইয়েচুরি পেশায় সাংবাদিক ছিলেন।
সিপিএমের পলিটব্যুরোর তরফে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরি ও ইন্দ্রাণী মজুমদারের প্রতি তাঁদের সন্তানের প্রয়াণে আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। ইয়েচুরি পরিবারের পাশে আমরা আছি’।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “এই খবর শুনে আমি বিধ্বস্ত। পিতা-মাতার পক্ষে সহ্য করা খুব মুশকিল। এর থেকে বড় ক্ষতি হতে পারেনা।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েনও তার মৃত্যুতে সমবেদনা জনিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ হতে চলল। একাধিক উদ্যোগ নিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। রাজ্য়গুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সংক্রমণে রাশ টানতে নাইট কার্ফু ও উইকএন্ড লকডাউন সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যগুলি। কিন্তু তাতেও লাভের কিছুই হচ্ছে না। উলটে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.