অক্সিজেন ও কোভিড প্রস্তুতির জন্য জাতীয় পরিকল্পনা দরকার, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এবার ময়দানে নামল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে চলা কোভিড–১৯ প্রস্তুতির বিষয়ে কয়েকটি হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করল। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন ও অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের জোগানের মতো বিভিন্ন বিষয়গুলির জন্য কেন্দ্রকে একটি 'জাতীয় নীতি’ তৈরির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কোভিড প্রস্তুতির জাতীয় পরিকল্পনা
দেশে এই মুহূর্তে জাতীয় জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নজর এড়ায়নি দেশের এই অবস্থা। শীর্ষ আদালতের মুখ্য বিচারপতি এসএ বোবদে কেন্দ্রকে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি পরিকল্পনা সহ কোভিড প্রস্তুতির জাতীয় পরিকল্পনা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

ছ’টি হাইকোর্টে শুনানি চলছে
বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ জানিয়েছেন যে দিল্লি, বম্বে, সিকিম, ওড়িশা, কলকাতা ও এলাহাবাদ বর্তমানে এই ছয়টি হাইকোর্টে কোভিড প্রস্তুতি নিয়ে শুনানি চলছে। সিজেআই এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি বৈষম্য ও বিভ্রান্তি তৈরি করছে।' সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে কেন্দ্রকে চারটে বিষয় নিয়ে নোটিশ জারি করা হবে, সেগুলি হল অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহ, টিকাকরণের পদ্ধতি এবং সার্বিক পরিকল্পনা এবং লকডাউন ঘোষণা করার ক্ষমতা। এই চারটে বিষয়কেই এখন গুরুত্ব দিতে হবে।

লকডাউন ঘোষণা করার ক্ষমতা
সিজেআই এও লক্ষ্য করেছেন যে রাজ্যগুলির ওপরই লকডাউন কার্যকর করার ক্ষমতা রয়েছে এবং সরাসরি লকডাউন ঘোষণা করার মতো আইনি অধিকার হাইকোর্টের আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে লকডাউন ঘোষণার আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে শীর্ষ আদালতের।

চাপের মুখে কেন্দ্র
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই জাতীয় বিপর্যয় মন্তব্য ও জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ কেন্দ্রকে কিছুটা হলেও চাপের মুখে ফেলবে। কারণ দ্বিতীয় ওয়েভের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও তাকে এখনও বিপর্যয় বলতে নারাজ কেন্দ্র। এছাড়াও দেশজুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার সত্ত্বেও অক্সিজেন সরবরাহের সার্বিক কোনও পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়নি।