নয়াদিল্লি :  করোনায় কাঁপছে দেশ। উদ্বেগ বাড়িয়ে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় দেশের প্রতিটি কোণায় অতিদ্রুত ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল বেসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রক।

বৃহস্পতিবার একটি প্রেস রিলিজে বেসামরিক এই বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে,  যেভাবে প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রোধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবাইকে করোনার প্রতিষেধক নিতে হবে। যদিও ভারতের মতো জনবহুল দেশে চট করে এইকাজ করা সম্ভব নয়।
যার ফলে এবার থেকে বিমান বা অন্যকিছু নয়, ড্রোনের সাহায্যে নির্ধারিত জায়গায় বা কোভিড টিকা কেন্দ্রে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। সেই লক্ষ্যে এবার আইসিএমআর-কে ড্রোন নিয়ে গবেষণা এবং এর সাহায্যে কীভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ করা যাবে তা নিয়ে গবেষণা করার অনুমোদন দিল বেসামরিক বিমান মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে,  কানপুরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সহযোগীতায় এই বিষয়ে গবেষণা চালাবে আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞ দল। তবে মাত্র এক বছরের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে এই ড্রোন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রক। যদিও সরকারি তরফে পরবর্তী নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ব্রেক। মাত্রা ছাড়িয়ে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষের বেশি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১০৪ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪১ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮০ জন। করোনার জেরে এখন অবধি সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৫৭ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে দেশে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৮ জন।
অন্যদিকে পুরোদমে চলছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। এক সপ্তাহে দুকোটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন মানুষ। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা এখন ১৩ কোটি। এমনটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য। ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৪ জনকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।