মুকুল রায় আগেই হেরে গিয়েছেন, বাবার বয়সী নেতাকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ বার্তা কৌশানীর

২০০১ সালের পর আবার ভোট লড়াইয়ে নেমেছেন মুকুল রায়। ২০ বছর পর ২০২১-এ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কন্যাসম অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ভোট লড়াইয়ের দিন পারস্পরিক শ্রদ্ধার আবহ ফুটে উঠল উভয়ের মধ্যে। কৌশানী প্রতিপক্ষ সম্বন্ধেও পিতৃসম সম্মানে হারানোর বার্তা দিলেন।

ভোটের দিনেও আত্মবিশ্বাসের সুর কৌশানীর গলায়

কৌশানী বলেন, বিপক্ষে হেভিওয়েট রাজনীতিক মুকুল রায়। তিনি আমার বাবার বয়সী, আমি তাঁকে সম্মান করি। তবে ভোটের আগে জনসংযোগে তিনি হেরে গিয়েছেন। কোথাও তাঁকে দেখা যায়নি। সর্বত্রই তৃণমূল। প্রচারের দিনের মতোই ভোটের দিনেও আত্মবিশ্বাসের সুর ঝরে পড়ল তৃণমূল প্রার্থী কৌশানীর গলায়।

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই, প্রতিদ্বন্দ্বীকে সম্মান

কৌশানী বলেন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁকে আমি সম্মান করেন। আমি চুটিয়ে লড়াই করেছি। আজকের দিনটা আমার কাছে পরীক্ষা। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন। আমরা দিদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী বানাব। সেই বিশ্বাস নিজের উপর রয়েছে, বাকিদের প্রতিও রয়েছে। এবার দিদির হ্যাটট্রিক নিশ্চিত।

জনসংযোগে টেক্কা কৌশানীর, প্রচারে উপচে পড়া ভিড়

ভোটের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কৌশানী বলেন, একশো শতাংশ নিশ্চিত আমি জিতছি। আমরা যা প্রচার চালিয়েছি, ধারকাছে মুকুল রায় থাকবেন না। আমরা ভোটের আগেই জনসংযোগে হারিয়ে দিয়েছি মুকুল রায়কে। জনসভা হোক বা মিছিল, কিংবা বাড়ি বাড়ি প্রচার সর্বত্রই কৌশানীর সমর্থনে উপচে পড়া ভিড় ছিল।

ষষ্ঠ দফায় কত আসন পাবে বিজেপি! ভোট শুরু হতেই জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

কৌশানীর জনসংযোগ নাকি মুকুলের মস্তিষ্ক- কে জিতবে

তবে তা পুরোটাই ভোটবাক্সে যায় কি না, সেটাই দেখার। কেননা বিপক্ষে মুকুল রায়ের মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য। তৃণমূলে থাকাকালীন পুরোটাই তাঁর গ্রিপে ছিল। তৃণমূলের প্রত্যেক নেতাকে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই কৌশানীর জনসংযোগ নাকি মুকুলের মস্তিষ্ক- কে জয়ী হয় সেটা জানা যাবে ২ মে।