সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়: আষাঢ় মাস আসতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু, তার আগেই তিথি ও রীতি মেনে রথের রশিতে পড়ল টান। তাও আবার কাকভোরে। হ্যাঁ, সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মেনে প্রতি বছরের মতো এবারও রামনবমীর দিন থেকে শুরু হয়েছে ‘অকাল’ রথযাত্রা। যা চলবে আগামী পাঁচ দিন।
হাওড়ার বাগনান থানার ওড়ফুলি গ্রামে। জানা গিয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন এই রথ রামনবমীর ভোরে অনুষ্ঠিত হয়। তারপর উৎসব অনুষ্ঠান চলে টানা পাঁচ দিন ধরে। আগে রথটি সাড়া গ্রাম প্রদক্ষিণ করলেও কালের নিয়মে সেই গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে নিয়ম মেনে গঙ্গা দেবী ও বিশালক্ষ্মী দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয় রূপনারায়ণ সংলগ্ন ওড়ফুলি গ্রামে। বিশিষ্ট ক্ষেত্র সমীক্ষক পবিত্র পাঁজা জানান, ‘ওড়ফুলির অকাল রথের প্রতিষ্ঠা করেন এলাকার জায়গীরদার মাধব মাইতি। তবে ঠিক কী কারণে এই ‘অকাল’ রথের প্রচলন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।’
তিনি আরও জানান, ‘রথটি একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই রথের রশিতে টান দেওয়া হয়। আগে মাইতি পরিবার রথটি পরিচালনা করলেও এখন রথ পরিচালনা করে ওড়ফুলি যুবস্রোত নামক একটি সংগঠন। প্রতি বছরের মতো এবারও হাওড়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের এই ‘অকাল’ রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।’
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া আষাঢ় মাসে আয়োজিত হয়। ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। ভারতের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রথযাত্রা ওডিশার পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, শ্রীরামপুর শহরের মাহেশের রথযাত্রা, গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের রথ এবং কলকাতা ও বাংলাদেশের ইসকনের রথ ধামরাই জগন্নাথ রথ বিশেষ প্রসিদ্ধ। রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে রথযাত্রার সময় যাত্রাপালা মঞ্চস্থের রীতি বেশ জনপ্রিয়।
রথযাত্রার দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দির সহ দেশের সকল জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও সুদর্শন চক্র মূর্তি মন্দির বাহিরে সর্বসমক্ষে বাহির করা হয়। তারপর তিনটি সুসজ্জিত রথে (কোনো কোনো স্থলে একটি সুসজ্জিত সুবৃহৎ রথে) বসিয়ে দেবতাদের পূজা সম্পন্নপূর্বক রথ টানা হয়। পুরীতে রথ টানতে প্রতি বছর লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর সমাগম হয়। এখানে তিন দেবতাকে গুণ্ডিচা মন্দিরে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পুরীতে বছরে এই একদিনই অহিন্দু ও বিদেশীদের মন্দির চত্বরে এসে দেবদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। পুরীতে যে রথগুলি নির্মিত হয় তাদের উচ্চতা ৪৫ ফুট।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.