করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিখরে পৌঁছবে মে’র মাঝ বরাবর, সক্রিয়ের সংখ্যা হবে ৩৫ লক্ষ

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। সাম্প্রতিক যে ভবিষ্যদ্বাণী সামনে এসেছে, তাতে স্পষ্ট করোনা মহামারী গাণিতিক মডেল বাড়ছে। গবেষকরা মনে করছেন, মে মাসের ১১ থেকে ১৫-র মধ্যে তা শিখরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময়ে দেশে ৩৩ থেকে ৩৫ লক্ষ সক্রিয় করোনা সংক্রমণ থাকেত পারে।

এবার তিনগুণ হবে করোনা সক্রিয়

এর অর্থ ভারতে করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা আরও তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকবে। যদি বর্তমান মডেলটি বৃদ্ধির প্রবণতাটি সঠিকভাবে দেখায়, তবে মে মাসের মাঝামাঝি শীর্ষে পৌঁছবে। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল করোনা। তখন ১০ লক্ষেরও বেশি সক্রিয়ের সংখ্যা ছিল। এবার তার তিনগুণ হবে সক্রিয়ের সংখ্যা।

কোথায় কবে করোনা সক্রিয় সর্বোচ্চ

বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় সংক্রমণ ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শিখরে পৌঁছতে পারে। ওডিশা, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গ ১ থেকে ৫ মে এবং তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ ৬ থেকে ১০ মে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে করোনা সংক্রমণ। বিহার ২৫ এপ্রিলের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়ে যাবে।

মে-র মাঝ বরাবর সক্রিয় সর্বোচ্চ অবস্থানে

এই মডেলটিতে প্রতিদিন নতুন সংক্রমণের যে হিসেব পাওয়া যাচ্ছে, তাতে লক্ষ্যণীয় ১ থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ৩.৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ সংক্রমণ হবে। জাতীয় ‘সুপার মডেল' উদ্যোগের সাথে জড়িত আইআইটি কানপুরের মণীন্দ্র আগরওয়াল জানান, এর ফলে সংক্রমণের ধারায় সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ১০ দিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ১১ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে সক্রিয় সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকবে।

অক্সিজেন ও কোভিড প্রস্তুতির জন্য জাতীয় পরিকল্পনা দরকার, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

দৈনিক 'নতুন' সংক্রমণ আর সক্রিয় সংক্রমণ

মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, কেরল এবং গোয়ার ক্ষেত্রেও এখনও কদিন পর্যবেক্ষণ করতে চাইছেন গবেষকরা। তারপরই চূড়ান্ত মত পোষণ করবে এই সুপার মডেল। বর্তমান মডেলটির কথা উল্লেখ করে আগরওয়াল জানান, দুটি আলাদা আলাদা বিষয়কে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। একটি দৈনিক 'নতুন' সংক্রমণ যা সাধারণত বেশি পরিলক্ষিত হয় এবং অন্যটি সক্রিয় সংক্রমণের একটি পরিসংখ্যান, যা টেস্টের ১০ দিন পরে আসে।