কলকাতা: চমকে চমকে চমৎকার করছেন এই অভিনেতা। বছরের শুরুর দিকেই তিনি দর্শকদের যে চমক দিয়েছেন তার রেশ থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দর্শকরা। সো কলড বাণিজ্যিক বাংলা ছবির রোমান্টিক কমেডি নায়করাও যে সুযোগ পেলে দুর্দান্ত ম্যাচিওরিটির সাথে কোন বাড়তি রংচং ছাড়াই অভিনয় করতে পারেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি আরো একবার। নিন্দুকদের সিন্দুকে সম্পূর্ণভাবে তালা মেরে দিয়ে আরো একবার নতুন ভাবে নিজেকে পর্দায় তুলে আনতে তৈরি হচ্ছেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা।
ম্যাজিশিয়ানের পর এবার মনোবিদের চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে অঙ্কুশ হাজরাকে। সৌজন্যে পরিচালক পাভেল। রসগোল্লা, বাচ্চা শ্বশুর, অসুরের মতন ছবি যার ঝুলিতে ইতিমধ্যেই অবস্থান করছে তাঁর থেকে স্বাভাবিকভাবেই দর্শকরা আশা করি একটি ছক ভাঙ্গা গল্প পাওয়ার। বাচ্চা শশুর এবং অসুরের মতো ছবিতে ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন অভিনেতা জিৎকে যদি অন্য ধারার ছবিতে ঠিকমতো চরিত্রে অভিনয় করতে দেওয়া যায় তবে তিনিও ছক্কা হাঁকাতে পারেন বড় পর্দায়। তবে অঙ্কুশের ঝুলিতে কমার্শিয়াল বাংলা ছবির পাশাপাশি জুলফিকার, ম্যাজিকের মতন ছবি। সেক্ষেত্রে দারিও দর্শকরা আরো একবার নতুন ভাবে অঙ্কুশকে পেতে প্রস্তুত।
ছবির নাম ‘মন খারাপ’। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এর ছবি আসলে মন ভালো করার গল্প। করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে চারপাশেই ভয় আতঙ্ক এবং মন খারাপের ছায়া। শুধু তাই নয় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এ জগতে আমরা যত বেশি টেকনোলজির গ্রাসে চলে গেছি তত বেশি যেন মন খারাপ নিঃসঙ্গতা আমাদেরকে চেপে ধরেছে। তাই সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়াটা আজ আর বিলাসিতা নয় প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মন খারাপকে কেন্দ্র করেই পরিচালক পাভেল পর্দায় নিয়ে আসতে চলেছেন সাইকোলজিকাল থ্রিলার ‘মন খারাপ’। যা আদপে একটি ডার্ক কমেডি। ছবিতে অঙ্কুশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী, কৌশিক সেন,ঋদ্ধি সেন, অপরাজিতা আঢ্য এবং অবন্তিকা। সব ঠিকঠাক থাকলে জুন মাসেই শুরু হবে ছবির শুটিং।
তবে তার আগে মে মাসে অঙ্কুশ আরো একবার জুটি বাঁধতে চলেছেন তার রিয়েল লাইফ বান্ধবী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। পরিচালক প্রেমেন্দ্র বিকাশ চাকীর এই ছবিতে অভিনয় করছেন দাপুটে অভিনেতা অভিনেত্রীরা। যেমন অপরাজিতা আঢ্য, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক। কাস্ট দেখেই যদি থমকে যান তবে জেনে রাখুন আরো নতুন চমক নিয়ে আসতে তৈরি হচ্ছেন টলিউডের হৃত্বিক রোশন অঙ্কুশ হাজরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।