আরও অবস্থার অবনতি, রাতেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হল মদন মিত্রকে

করোনার গ্রাসে নাজেহাল বাংলা। প্রত্যেকদিন সংক্রমনের রেকর্ড ভাঙছে। ভোট বাংলায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে রাজনীতিবিদদেরও। ইতিমধ্যে করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী সহ একাধিক বিরোধী নেতা। করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও। জানা যায়, বুধবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মদন মিত্রকে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।

বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মদন মিত্রকে

গত ১৭ তারিখ ভোট গ্রহণের পরেই কামারহাটিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। যদিও এরপর কিছুটা সুস্থ হন তিনি। এরপর বুধবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও রাতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় মদন মিত্রের। জানা যায়, রাতেই বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর বুকে হাই রেজোলিউশন কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি করা হয়। সেই এইচআরসিটি স্ক্যানেই তাঁর বুকে করোনার পেরিফেরাল প্যাচ ধরা পড়ে। যার ফলে রাতে অত্যন্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে তৃণমূল নেতার। আর তাই সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কর হয় মদন মিত্রকে।

অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল

মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক। জানা যায়, রাতেই প্রতি মুহূর্তে ৮ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছিল মদন মিত্রের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও কম ছিল। এমনটাই সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে। এমনকী, হৃদস্পন্দনও স্বাভাবিকের তুলনায় মদন মিত্রেত কম ছিল বলে জানা যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর শুকনো কাশি রয়েছে। রয়েছে বুকে জ্বালা ভাব। গভীরভাবে শ্বাস টানতে, শ্বাস ধরে রাখতে ও ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মনে করা হচ্ছে গভীর করোনা সংক্রমণই এর প্রধান কারণ। সংক্রমণ ও প্রদাহের ফলে ফুসফুসের কিছু অংশের স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।

করোনা আক্রান্ত সুজন, অধীর

বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুজন চক্রবর্তীকে। শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর থাকায় করোনার পরীক্ষা করা হয় সুজনের। রিপোর্ট পিজিটিভ আসে। এরপরেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যাচ্ছে, বামনেতার শারীরিক অবস্থা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে, হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন অধীর চৌধুরীও। তিনিও স্থিতিশীল রয়েছেন বলে খবর।

ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে ৯৩ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও ১ কোটি ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে। সেগুলি দিতে দিতেই পরবর্তী ভ্যাকসিন চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশে ১ মে থেকে ১৮ বছরের ওপরে সবার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হলেও, ভোটের কারণে রাজ্যে তা শুরু হবে ৫ মে থেকে।

মারধর করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাবড়ার নারায়ণপুরে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

রাজ্যে ভ্যাকসিনের জন্য ১০০ কোটির ফান্ড

মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে আপাতত ভ্যাকসিন কিনতে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে মানবিক হওয়ার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, লকডাউন কোনও সমস্যার সমাধান নয়। মুখ্যমন্ত্রী আগেও বলেছিলেন নাইট কার্ফুও কোনও সমস্যার সমাধান নয়। দুদিন আগেও মুখ্যমন্ত্রী একই জায়গায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।