জীবনের থেকেও বেশি আমাদের কাছে যেন প্রিয় হলো আমাদের ভালোবাসার বস্তুগুলি বা এমন কিছু জিনিস যা আমরা ঘাম ও পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করি বা পাই নিজেরা। অথচ এমন একটি গ্রাম পাওয়া গিয়েছে যেখানে দিন বা রাত যখনই হোক ২৪ ঘন্টা সব বাসিন্দাদের ঘরের দরজা খোলা থাকে। আসলে সেই গ্রামে কারুর বাড়িতেই নেই প্রবেশের দরজা। এই কারণে চাইলেও দরজা বন্ধ করার সুযোগ নেই। তবে আরো অবাক হবেন এটা জেনে যে এই গ্রাম আমাদের ভারতেই রয়েছে।

মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাভাসা জেলার শনি শিঙ্গাপুর গ্রামের কাহিনী এটি। আহমেদ নগর থেকে গ্রামটি ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। শনি শিঙ্গাপুর গ্রামটিতে মূলত একটি শনি মন্দির থাকাতেই সেই গ্রামটি এতো বেশি পরিচিতি পেয়েছে। গ্রামের নামও শনি দেবের নামানুসারেই রাখা হয়েছে। ২০০-র বেশি বসতবাড়ি রয়েছে এই গ্রামে। এবার গ্রামের এমন অদ্ভুত বৈশিষ্টের কারণ জেনে নিন এখানে।

শোনা যায় যে নাকি প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামটিতে একবার প্রচন্ড বৃষ্টি ও বন্যা হয়। বন্যা শেষ হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানাশালা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয় বিশালাকৃতির কালো রঙের একটি পাথর। অনেক বাসিন্দা এটা নদী থেকে স্বাভাবিকভাবে ভেসে ওঠা পাথর ভাবতে লাগলো।

আবার কেউ কেউ ভাবতে লাগলো যে এটি কোনো দৈবশক্তির সঙ্কেত। এসব চলতে থাকাকালীন এক রাখাল তার হাতের লাঠি দিয়ে পাথরটিকে স্পর্শ করতেই সাথে সাথে সারা পাথর থেকে অঝোর ধারায় রক্ত বইতে শুরু করে দেয়। গ্রামের সকল মানুষ ভয়ে দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করলো।

হঠাৎ করেই সবাই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে যুগপৎভাবে ঘুমিয়ে পড়লো। সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন একই সবার স্বপ্নে দেখা দেন শনি দেবতা। সবাইকে তিনি জানান যে এই মূর্তি তারই প্রতিমূর্তি। যদি তারা সঠিকভাবে তার উপাসনা করে তাহলে সবার মুক্তি ও নিরাপত্তা দেবেন ঈশ্বর। নইলে এই রক্তের ধারা বন্ধ হবে না। তার উপাসনার জন্যে দুটি শর্ত জুড়ে দেন। প্রথমত, এই গ্রামের কোনো জায়গায় পবিত্র মূর্তিটিকে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রামের কেউ তাদের ঘরের দরজা কখনোই বন্ধ করতে পারবে না।

২০১১ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংকের শাখা খোলা হয় সেখানে। ব্যাংক খোলার পরিকল্পনার সময় গ্রামবাসীর সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আলোচনার করে স্থির করে যে ব্যাংকের দরজা থাকলেও তা হবে স্বচ্ছ গ্লাসের আর থাকবে না কোনো তালা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।