খড়দহ: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহ বিধানসভায়।
বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত আক্রান্ত হলেন। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল খড়দহের বরোবাগান অঞ্চলে। জানা গিয়েছে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে তে পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় কিছু দুষ্কৃতি এসে প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। এলাকায় একটি আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বোমা ফাটার বিকট শব্দ হয় চারিদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায় । নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে এসে উদ্ধার করেন শীলভদ্র দত্তকে। তাকে গাড়িতে তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার লোকজনের হাত রয়েছে বলে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ। তিনি বলেন “আগামী কালকের ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করবার জন্য আমাদের কর্মীরা তৈরি আছি। আজকের বিষয় টি আমি নির্বাচন কমিশন ও আমার উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা আছে।”
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বিজেপি সমর্থকরা দো পে পেট্রলপাম্পের সামনে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছেই জেলাজুড়ে। ষষ্ঠদফা ভোটের আগে সেই সংঘর্ষ বড়সড় আকার নিতে পারে এমনই আশঙ্কা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় ভোটের দিন চলছে বিশেষ টহল।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া বিধানসভার নির্বাচন ২২ শে এপ্রিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাদুড়িয়া রেজিস্ট্রি অফিসের মোড়, খাসপুর ,তারাগুনিয়া, সরুপনগর বিধানসভা তেতুলিয়া ব্রিজ, খাসপুর ,ব্রুজ, শাড়াফুল, ডাকবাংলো সহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোতে চলেছে টহল।
এদিন সকালে পুলিশকে নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনির রুট মার্চ শুরু হয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজ চলেছে। মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়, সহজে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন।
বাদুড়িয়া ও স্বরূপনগরের সীমান্তে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন ও নিরভয়ে ভোট দেয়ার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। করোনা নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের মানুষদের তাদের সচেতনতার বার্তা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনি ও পুলিশ। তাদের বলেন করোনা মহামারী নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। মাক্স পরুন, হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন, নিজেকে সুস্থ রাখুন অপরকেও সুস্থ রাখুন যতটা পারবেন ভিড় এড়িয়ে চলুন, অযথা কাউকে আতঙ্কিত করবেন না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.