লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
১২ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিলের সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। অন্যদিকে অসমে বেড়েছে ২৩০ শতাংশ। এই সময়ে তামিলনাড়ুতে বেড়েছে ৬২ শতাংশ। এই সময়ে সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৬০.৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে এই সময়ে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৯.৭৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তামিলনাড়ু, অসম, কেরলে ভোট ৬ এপ্রিল শেষ হলেও বাংলা শেষ দফার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ এপ্রিল।
ছয় এপ্রিল থেকে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা
৬ এপ্রিল থেকে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা অসমে বেড়েছে ১০ গুণ, পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ৪ গুণ। অন্যদিকে ৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে কেরলে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ, তামিলনাড়ুতে বেড়েছে তিন গুণ। সারা ভারতে ৬ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২ শতাংশ। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে তা বেড়েছে এক শতাংশ।
বিহারের করোনা পরিস্থিতি
দেসে করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম ভোট হয় বিহারে। ২৮ অক্টোবর, ৩ ও ৭ নভেম্বর, এই তিনদফায় ভোট হয়েছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর যেদিন বিহারে ভোট ঘোষণা হয়েছিল, সেদিন বিহারে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৮১ জন। আর বিহারের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার একমাস পর ১২ ডিসেম্বর সেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩১২। অর্থাৎ ৭৯ দিনে ৪৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
১৬ এপ্রিলের বিহারে মৃতের সংখ্যা ১৬৮৮। ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে অর্থাৎ ১৩৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৬ জনের।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মমতার অভিযোগ ও বিজেপির প্রতিক্রিয়া
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকেই দায়ী করছেন। তিনি বলছেন, বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনেছে আর তারাই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও পাল্টা অমিত শাহ বলেছেন, একমাত্র বাংলাতেই করোনাকে নির্বাচনী ইস্যু করা হচ্ছে। পাল্টা তিনি বলেছেন করোনা মোকাবিলায় বাংলা ব্যর্থ। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভোটের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি হলেও, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলি কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।