হিথ স্ট্রিক,দিলহারা লকুহেত্তিগের পর এবার কাদির আহমেদ খান। ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অপরাধ স্বীকার করে এবার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ক্রিকেটার কাদির আহমেদ খান।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠায় তখন থেকেই সাসপেন্ড ছিলেন কাদির। পাঁচ বছরের নির্বাসনের মেয়াদ তখন থেকেই ধরা হবে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে জিম্বাবোয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সিরিজ চলাকালীন ছয়টি ক্ষেত্রে আইসিসি-র দুর্নীতিদমন আইন লঙ্ঘন করেছিলেন কাদির। বুকিদের সঙ্গে সাক্ষাত বা ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাবের কথা তিনি আইসিসি দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের কাছে গোপন করেছিলেন। ওই বছরেরই অগাস্ট মাসে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ চলাকালীনও তিনি বুকিদের কাছে দলের ভিতরের তথ্য ফাঁস করেছিলেন। তিনি জানতেন এই তথ্য বেটিংয়ের কাজে লাগতে পারে। তবু সেসব কথা আইসিসি দুর্নীতিদমন শাখার কাছে গোপন রাখেন। পরবর্তী সময়েও তিনি অপকর্মগুলি গোপন রেখে তদন্তে অসহযোগিতাও করেন।
দেশের হয়ে ১১টি ওয়ান ডে ও ১০টি টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলেছেন কাদির। দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য আর খেলার সুযোগ পাননি। আইসিসি-র ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানান, জাতীয় দলে খেলা এই ক্রিকেটার ভালোরকমভাবেই জানেন কোন ক্ষেত্রে কী করলে আইসিসি-র দুর্নীতিদমন বিধি ভঙ্গ করা হয়। কিন্তু দুর্নীতিতে জড়িয়েও বারংবার তিনি দুর্নীতিরোধের প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করে গিয়েছেন। ২০১৯ সালের গ্লোবাল টি ২০-তে একই ধরনের অপরাধের জেরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ঘরোয়া ক্রিকেটে আজমানের হয়ে খেলা মেহরদীপ ছায়াকরের বিরুদ্ধেও দুর্নীতিদমন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আইসিসি।