কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে শেষ দু’দফার নির্বাচন এক সঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের সেই আর্জি খারিজ করল নির্বাচন কমিশন । কমিশন জানিয়ে দিল, নির্বাচন একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই শেষবেলায় এসে আর দু’দফার ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, করোনা বিধি মেনে ভোট করার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থাও করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই শেষ পর্যায় এসে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বদল করা সম্ভব নয়।

চতুর্থ দফার ভোটের পরই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে হয়ে গেলে প্রচারের আর কোনও বিষয় থাকবে না। ফলে সাধারণ মানুষের জমায়েত এড়ানো যাবে। কিন্তু কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাকি ভোট আরও চার দফাতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের চোখ রাঙানি বাড়ার পর ফের কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।এবার তৃণমূলের তরফে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছিল, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিলের ভোট অর্থাৎ সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করুক কমিশন।

তবে তৃণমূলের আবেদনের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করানো হবে না। এমনিতেই করোনার কথা ভেবে এবছর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচিনের বুথের সংখ্যা ৩২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য সন্ধে ৭টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটপ্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। যেদিন নির্বাচন তার ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট অনেক দিন আগে থেকে অনেক কিছু পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হয়। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা থেকে ভোটের দিনের মধ্যে অন্তত ১৪ দিনের সময় দিতে হয়। তাই কোনওভাবেই শেষ দফার নির্বাচনের সূচি বদল করে এক দফায় করা সম্ভব নয়। যদিও বুধবার মালদা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা আবহে শেষ দু’দফা নির্বাচন এক দফায় করার প্রসঙ্গে নিজের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শাসক দলের কোনও দাবিই শেষ পর্যন্ত মানল না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।