মুম্বই : করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল গোটাদেশ। উদ্বেগ বাড়িয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাজারে ভ্যাক্সিন চলে আসলেও নেই স্বস্তি।

আর এই অবস্থায় দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের। সেখানের দৈনিক সংক্রমণের হার ভাঙছে অতীতের সব রেকর্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল সরকার।

অন্যদিকে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভরতি করতে এবং আপৎকালীন পরিষেবা দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার যোগার মহারাষ্ট্রের অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল সার্ভিসের।

জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে যে হারে প্রতিনিয়ত করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে সবাইকে পরিষেবা দিতে গিয়ে অন্তত দিনে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার বার ফোনকল আসছে।

এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের অ্যাম্বুলেন্স কন্ট্রোল রুমের ম্যানেজার ডঃ প্রভিন প্রথা বলেন, ” করোনা সংক্রমিত রোগীদের পরিষেবা দিতে দিনের মধ্যে অন্তত নয় থেকে দশ হাজার বার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কল আসছে। আর জরুরি ভিত্তিতে দিবারাত্র পিপিই কিট পড়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে চলেছেন অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা।”

তিনি আরও বলেন, ”করোনা রোগীদের মেডিকেল পরিষেবা দিতে সারা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯৫৭ টি অ্যাম্বুলেন্স এই কাজের সঙ্গে নিযুক্ত রয়েছে।”

তবে কতিপয় ফোন গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া বা অন্যান্য ক্ষেত্রের হলেও বেশিরভাগ ফোন কল আসছে করোনা সংক্রমিত রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, গত চব্বিশ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫৮,৯২৪ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫২,৪১২ জন। গত চব্বিশ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন ৩৫১ জন। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০,৮২৪ জন।

প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি: ফের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করল দেশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ হতে চলল। একাধিক উদ্যোগ নিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। রাজ্য়গুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সংক্রমণে রাশ টানতে নাইট কার্ফু ও উইকএন্ড লকডাউন সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যগুলি। কিন্তু তাতেও লাভের কিছুই হচ্ছে না। উলটে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫৩ জনে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ২১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৫৭ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৯। করোনাকে ঠেকাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে দেশের ১৩ কোটি ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩১০ জনকে। মঙ্গলবারের রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমলেও বুধবারের রিপোর্ট তা অনেকটাই বেড়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।