মাঠে নামছে স্পুটনিক-ভি
এদিকে আবার ইতিমধ্যেই প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কেনারও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। যা ভারতের ইতিহাসে প্রথম। যদিও এখনও পর্যন্ত দেশে সিরাম ইন্সস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনই ব্যবহৃত হচ্ছে দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণের জন্য। অন্যদিকে করোনা দমাতে এবার মাঠে নামতে চলেছে রাশিয়ান করোনা টিকা স্পুটনিক-ভি।
১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধে সকলকে করোনা টিকা
যদিও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে দেওয়া ১০ কোটি করোনা টিকার মধ্যে ৪৪ লক্ষ টিকা সঠিক সময়ে না দিতে পারার জন্য নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ১৮ বছরের উর্ধে সকলকে করোনা টিকার ছাড়পত্র দেওয়ায় বর্তমানে দেশের ৯৪ শতাংশ নাগরিকই টিকাকরণের আওতায় চলে আসবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই কোটি কোটি কোটি মানুষের টিকাকরণ কীভাবে হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ।
মাসে ৮ কোটি করোনা টিকা
এদিকে ভারতে বর্তমানে প্রতিমাসে ৮ কোটি করোনা টিকা উৎপাদন হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই মাত্রা নিয়ে কতদিনে গোটা দেশের টিকাকরণ শেষ হবে তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে কেন্দ্রের নয়া নীতি অনুযায়ী কোনও প্রস্তুতকারক সংস্থা এখন থেকে তাদের মোট সাপ্লাইয়ের ৫০ শতাংশ রাজ্যগুলি সরবরাহ করারা পাশাপাশি খোলা বাজারেও বিক্রি করতে পারবে টিকা। যদিও এই ক্ষেত্রে তাদের আগের ঠিক করা দামেই ভ্যাকসিন দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
দেশীয় সংস্থার টিকা উৎপাদন নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই
এতকিছুর পরেও দুই দেশীয় সংস্থার টিকা উৎপাদন নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। ভারতে যেখানে টিকা গ্রহীতার পরিমাণ প্রায় ৯৪ কোটি সেথানে মাসে মাত্র সাড়ে ছয় কোটি কোভিশিল্ড তৈরি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। সেথানে কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে মাত্র দেড় কোটি। দ্রুত টিকা উৎপাদনের পরিমাণ না বাড়ালে অচিরেই যে দেশবাসীর জন্য সমূহ বিপদ অপেক্ষা করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে ভারতে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষের বেশি।