করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ মহামারিতে দেশজুড়ে ফের মৃত্যু মিছিল দেখা দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে শ্মশানঘাটগুলিতে একশোরও বেশি চিতায় পুড়ছে দেহ। করোনা মহামারি ফের দেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। যোগী রাজ্যের বহু দোকান, যেখানে আগে বিয়ের জিনিস বিক্রি হত, তাঁরা বাধ্য হয়ে শেষকৃত্যের জিনিস বিক্রি করছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে মানুষ বিয়ের দিন পিছিয়ে দিতে বা বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাজ্যের অনেক দোকানই বিয়ের সরঞ্জাম অন্যত্র রেখে শেষ কৃত্যে প্রয়োজন এমন পণ্য বিক্রি করতে শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের প্রয়াগরাজের চৌক এলাকায় দোকান চালান অঙ্কিত আগরওয়াল। তিনি বলেন, 'গোটা শহর সাক্ষী থাকছে রেকর্ড নম্বরে কোভিড–১৯ কেস দেখা দিচ্ছে এবং পুরনো শহর ও চৌক এলাকাও এর ব্যতিক্রম নয়। আমার পরিবারের বিয়ের জিনিসের ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত, কিন্তু এখন আমরা দাহকার্যে ব্যবহৃত হয় এমন পণ্য বিক্রি করছি।’ তিনি আরও বলেন, 'এলাকায় এই জাতীয় কোনও দোকানও নেই তাই মানুষের সুবিধা হয় এবং ক্রেতাদের অন্য জায়গার দোকানে যেতে হয় না।’
এ প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বলেন, 'আমরা বেশ কয়েকটি দশক ধরে এই দুটি দোকান জানতাম এবং তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্য বিক্রি করেন, তাই 'ওয়ান স্টপ' শপ হিসাবে বিখ্যাত। এখন একই দোকান শেষকৃত্যের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ালো দশ হাজার। এদিন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ১৬২ জন। অন্যদিকে এই রাজ্যে করোনায় নতুন কেসের সংখ্যা ২৯,৭৫৪টি, যা সংক্রমণের সংখ্যাকে ৯ লক্ষে নিয়ে গিয়েছে।
জেলাগুলিতে ৫৫০–এর বেশি করোনা কেস দেখা দেওয়ায় রাজ্য সরকার মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহান্তের লকডাউন ও গোটা সপ্তাহ জুড়ে নৈশ কার্ফু জারি করার ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার রাত ৮ টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত এই নৈশ কার্ফু জারি থাকবে। অন্যদিকে, সপ্তাহান্তের লকডাউন শুরু হবে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। এই সময় জরুরি নয় এমন পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
ভারতের বুকে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে 'বায়োলজিক্যাল ই', অপেক্ষার কাউন্টডাউন শুরু