নয়াদিল্লি : করোনা অতিমারীর থাবায় অতিষ্ঠ গোটাদেশ। হাহাকার জনজীবনে। বছর ঘুরলেও স্বস্তি নেই অদৃশ্য ব্যাধি থেকে। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে গত সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাক্সিন গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার তৈরি ভ্যাক্সিনগুলি জরুরি ভিত্তিতে বাজারের সরবরাহের কথাও জানানে হয়েছে। তবে এবার থেকে বাজারজাত ভ্যাক্সিনগুলি প্রতি ডোজ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করবে ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।

এই বিষয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইইন্সটিটিউটের সিইও আডর পুনওয়ালা জানিয়েছেন যে, তাঁদের সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রতি জ্যাব খোলা বাজারে ১০০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়াও ডঃ রেড্ডির ল্যাবের অনুমোদন প্রাপ্ত রাশিয়ান ভ্যাক্সিন স্পুটনিক-ভি বাজারে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যদিও এখনও এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।

অন্যদিকে আগামী ১ মে বাজারে আসবে ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ডোজ। আর তার আগে সরকার ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছে টিকার সঠিক মূল্য ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, করোনার টিকা প্রস্তুতকারক এই সংস্থাগুলির দামের ভিত্তিতেই বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প সংস্থা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এর মূল্য নির্ধারণ করা হবে। যদিও সরকার আশাবাদী সকলের কথা মাথায় রেখে খোলা বাজারে খুব বেশি দামে বিক্রি করা হবে না ভ্যাক্সিন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকা প্রদানের কাজ। সেই সময় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হয়।

তারপর গত ১ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় করোনার টিকা দেওয়ার কাজ। অন্যদিকে ১মে থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ।

অন্যদিকে, আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে আপনিও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে আপনাকে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য কোনও বিশেষ অ্যাপ নেই। তার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি কম্পিউটার। সঙ্গে প্রয়োজন গুগল ক্রোম অথবা সাফারির মতো একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার। এছাড়াও দরকার একটি মোবাইল নম্বর ও আধার কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো একটি আইডি কার্ড।

অনলাইনে টিকাকরণের জন্যে www.cowin.gov.in ওয়েবসাইটে লগ ইন করে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। এখানে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে OTP-র মাধ্যমে লগ ইন করতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।