কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য কী বলছে?
করোনার রুখতে ভারতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা বুঝিয়ে দিতেই এদিন এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সরকার। কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ০.০৪ শতাংশ মানুষ। আর কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর দেশে কোভিডের কবলে পড়েছেন ০.০৩ শতাংশ ভারতবাসী। এমনই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্র।
আইসিএমআর এর বড় দাবি
আইসিএমআর বলছে, যেখানে বসতি ১০ হাজার , সেখানে দ্বিতীয় ডোজের পর ২ থেকে ৪ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। নীতি আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও, তাঁদের সংখ্যা অনেকটাই কম।
নির্ভয়ের বার্তা
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি ডক্টর ভিকে পল জানিয়েছেন, যে সমস্ত ভারতবাসী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ভাইরাসের আক্রমণের গভীরতা কম। ফলে ভ্যাকসিন অনেকটাই সুরক্ষা দিচ্ছে মানুষকে। করোনার দ্বিতীয় স্রোতের হাত ধরে যে তাণ্ডব শুরু হয়েছে, তার থেকে রক্ষা পেতে ভ্যাকসিন অন্যতম বড় পোথ্য, বলে দাবি করছেন অনেকেই।
কোন ভ্যাক্সিন কতজন ভারতবাসী পেয়েছেন?
সরকারের তরফে তুলে ধরা পরিসংখ্যান বলছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ১.১ কোটি ভারতবাসী পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৯৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ১৭ লাখ মানুষ পেয়েছেন করোনার দ্বিতীয় ডোজ। এদিকে, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ভারতে ১০ কোটি মানুষকে। ১.৫ জন পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজের পর ১৭,১৪৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪২০৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।