বিজেপি ও মোদীকে সুবিধা করে দেওয়াই উদ্দেশ্য কমিশনের, ভোটের দফা না কমানো নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

নির্বাচন কমিশনকে (election commission) সরাসরি আক্রমণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (trinamool congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) । করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের (covid second wave) জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে শেষ তিনদফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই দাবিতে আমল দেয়নি।

তৃণমূলের অনুরোধ শোনেনি কমিশন

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের অনুরোধ শোনেনি। তৃণমূলের তরফ থেকে শেষ তিন দফার নির্বাচনকে এক কিংবা দুই দফায় করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

মুধ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের দফা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল। মহামারী পরিস্থিতিতে শেষ তিনদফার নির্বাচন একদফায় করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবারও তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে নির্বাচনের দফা কমাতে চিঠি দেওয়া হয়।

বিজেপি ও মোদীকে সুবিধা

বিজেপির(bjp) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (narendra modi) সুবিধা করে দেওয়াই উদ্দেশ্য নির্বাচন কমিশনের, এমনটাই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বারবার রাজ্যে আসতে এবং বেশি সংখ্যার সভা করে দিতেই ব্যবস্থা করেছে কমিশন।

তৃণমূল কলকাতায় বড় সভা করবে না

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার তারা আর বড় কোনও সভা করবে না। ২৬ এপ্রিল কলকাতায় বড় সভা করা হবে। আর জেলাগুলিতে নিজের বক্তব্যের সময় সংক্ষিপ্ত করার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলার সভাগুলিতে ১৫ মিনিটের বেশি বক্তব্য রাখবেন না।

ইতিমধ্যেই সিপিএম-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা বড় কোন সভা কিংবা রোড শো করবে না। করোনা পরিস্থিতিতে স্ট্রিট কর্নার, সোশ্যাল মিডিয়া আর ঘরে ঘরে প্রচারে জোর দিয়েছে বামেরা।

দাঙ্গা লাগাতে চাইছে বিজেপি

সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম এবং কংগ্রেসকে বিজেপির সব থেকে বড় দালাল বলে আক্রমণ করেন। বলেন, ভোট ভাগ করবেন না। তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা লাগানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি। বাংলা যাতে দাঙ্গাবাজদের হাতে না পরে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান জানান। ঠান্ডা মাথায় ভোট করাতে আহ্বান করেন তিনি। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

ক্রমেই ভয়ঙ্কর করোনা, দ্বিতীয় ওয়েভে প্রথম কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু বাংলায়