আইনজীবীর ফেসবুক পোস্টে ব্যাঙ্ককর্মীর বিয়ের গল্পগাথা
তাইওয়ানের বাসিন্দা এই কীর্তি করেছেন সম্প্রতি। এমনই কীর্তি যে তিনি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন এক পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই। সম্প্রতি এক আইনজীবীর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই খবরটি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী ওই ব্যক্তি বিয়ের জন্য সবেতন ছুটির আবেদন করেন।
ছুটি মঞ্জুরও হয়ে যায়।
আট দিনের মাথায় স্ত্রীকে ডিভোর্স, সাতদিনের মাথায় ফের বিয়ে
বিয়ের জন্য ছুটি আবেদন করে পেয়েও যান। ৭ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আট দিনের ছুটি। কিন্তু আট দিনের মাথায় তিনি স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। এরপর আবার বিয়ের দিনস্থির করে তিনি ছুটির আবেদন করেন। ছুটি মঞ্জুর হতে তিনি ডিভোর্সের সাত দিনের মাথায় ফের সদ্য প্রাক্তন স্ত্রীকেই বিয়ে করেন।
৩৭ দিনের মধ্যে তিনবার ডিভোর্স আর চারবার বিয়ে!
এরপর ছুটি ফুরনোর আগে তিনি ফের একই কাণ্ড করে বসেন। প্রথমে ডিভোর্স, তারপর বিয়ে। এমনই করে আবারও একবার। স্রেফ ছুটি নেওয়ার জন্য তিনি ৩৭ দিনের মধ্যে তিনবার ডিভোর্স আর চারবার বিয়ে করে বসলেন। শেষপর্যন্ত গত বছরের ১২ মে তিনি চতুর্থবারের জন্যে বিয়ে সারেন। তারপরও তিনি একই খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ফের ছুটির আবেদনও করেছিলেন।
সবেতন ছুটির খেলাটা ধরে ফেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ, তারপর...
তবে তাঁর এই সবেতন ছুটির খেলাটা ধরে ফেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পরেরবার ছুটি চাইলে ব্যাঙ্ক তা নাকচ করে দেয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেয় ওই কর্মী শুধু তাঁর প্রথম বিয়ের জন্যই সবেতন ছুটি পাবেন। এখানেই শেষ নয় গল্পের। ওই ব্যক্তি অফিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তাইপেই শহরের শ্রম দফতরে।
ব্যাঙ্ককেই জরিমানা! ব্যাঙ্ককর্মীর উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা
শুনানির পর শ্রম দফতর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেই ৭০০ ডলার জরিমানা করে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদের পর শ্রম দফতরের শীর্ষ আধিকারিক জানান, লোকটির আচরণ অযৌক্তিক। কিন্তু শ্রম আইনে এই ধরনের কাজের জন্য কোনও শাস্তির বিধান নেই। তাই ওই ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই ওই ব্যক্তির উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসাও করেছেন।