বড় কোনও সমাবেশ নয়।
বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় আর কোনও বড় জমায়েত না করার সিদ্দান্ত বিজেপির। পরিবর্তে আগামী দফাগুলিতে ছোটো ছোটো সভা করা হবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেখানে খুব বেশি হলে পাঁচশো জন মতো জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে। এখনও তিন দফার নির্বাচন বাংলায় বাকি আছে। একাধিক কেন্দ্রে এখনও ভোট হয়নি। এই অবস্থায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। সেকথা মাথায় রেখেই বড় সভা, মিছিল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির।
মোদীর সভাও হবে ছোট
ইতিমমধ্যে বিজেপির তরফে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আর কোনও বড় সভা, সমাবেশ হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছোটো ছোটো সভা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভাগুলিতে পাঁচশো জনকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি করোনা মোকবিলায় ৬ কোটি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দল। এছাড়া মোদী কিংবা অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমাবেশ হলে বেশি করে এলইডি টিভি,মাইক বসানোর কথা বলা হয়েছে। যাতে বাড়িতে বসেই মানুষ সভা শুনতে পারে।
বড় সমাবেশ করছেন না মমতাও
আপাতত বড় আর কোনও কলকাতায় সমাবেশ করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। শুধুব তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়সীমাও কম করানোর কথা বলা হয়েছে। ৩০ মিনিটের বেশি কোনও সভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না। সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, করোনা আবহে রাজ্যে সভা-সমাবেশ বাতিল ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী । ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা ছিল তাঁর। সিপিএমও আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কোনও বড় জমায়েত তারা করবে না। এবার সে পথে হাঁটলও বিজেপিও।
দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও ভারত
গত কয়েকদিন ধরে কার্যত আড়াই লাখের উপর উঠতে শুরু করেছিল। গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক হারে যেদিকে যেতে শুরু করেছিল , তাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আড়াই লাখ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়ে হু হু করে করোনা বাড়তে থাকে ভারতে।যদি পর পর দিনের হিসাবে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যায়, তাহলে ১৭ এপ্রিল দৈনিক আক্রান্ত ছিল দেশে ২,৩৪,৬৯২ জন, ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২,৬১,৫০০ জন। ১৯ এপ্রিল আক্রান্ত ছিল ২,৭৩,৮১০ জন। এরপর আজ ২০ এপ্রিল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২, ৫৯,১৭০ জন।