নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব চাপের মধ্যে রয়েছে। সুরক্ষা ব্যবস্থার চ্য়ালেঞ্জ ও তার পরিবর্তন নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘ, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলির মধ্যে একটি বৈঠকে এ কথা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “৭৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির ক্ষেত্রে হুমকির পরিবর্তন হয়েছে। এগুলি কোনও অঞ্চল বা রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং শারীরিক ও রাজনৈতিক সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে।” জয়শঙ্কর অনুষ্ঠানে ASEAN, BIMSTEC, and African Union-এর মতো গ্রুপগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। ভারতের সঙ্গে ASEAN-এর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেছেন ‘বিদেশনীতির মূল স্তম্ভ’। ভারতের সঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সম্পর্ক যথেষ্ট গভীর। ইউনিয়নের দেশগুলির সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগই লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।ভারত আফ্রিকায় উচ্চ পর্যায়ের সফরে অংশ নিচ্ছে।
এ বছর ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়ার বিদেশ মন্ত্রীদের দিল্লি সফরে আসার কথা। টাইগ্রয়ের সংকট নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। এছাড়া বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) গ্রুপিংয়ের কথাও বলা হয়। ভারত এর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। BIMSTEC প্রায় ২০ বছরেরও বেশি পুরানো দল। ১৯৯৭ সালে এটি তৈরি হয়। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড এই দলের সদস্য। ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এই দেশগুলির প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
গত জানুয়ারি মাসের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর এমন একটি উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে কথা বললেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ভারত এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্যপদ পায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.