কলকাতাঃ আবারও মানবিকতার পথে টলিউড সুপারস্টার দেব। জিতের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরেই দেব টুইট করে জিতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এই দুই জনপ্রিয় তারকা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছেন। জিৎ এবং দেব একসঙ্গে দুটি ছবিতে কাজও করেছেন। ২০১০ সালে ‘দুই পৃথিবী’ এবং ২০১৭ সালে ‘দ্য মাফিয়া’তে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে।
বলিউডের পাশাপাশি টলিউডেও এবার আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আজ টলিউড স্টার জিৎ টুইট করে তার কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জিতের উদ্বিগ্ন অনুগামীরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বার্তা পাঠায়। জিতের পাশে এবার সাংসদ – অভিনেতা দেব। জিতের করোনা খবর পেয়ে দেব পাল্টা টুইট করে লিখেছেন, ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো যোদ্ধা। আমি তোমার পাশে আছি। কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করো।’ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এই দুই অভিনেতার টক্কর চললেও, মানবিকতা রয়েছে প্রতিযোগিতার উর্দ্ধে।
গত মার্চ মাসে জিৎ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা টিকা নিয়েছিলন। সেই ছবিও অভিনেতা শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টিকা গ্রহনের পরেও তার শরীরে প্রবেশ করেছে এই ভাইরাস। তবে টিকা গ্রহনের পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জিতের ক্ষেত্রে প্রথম নয়। বলিউডে এই ঘটনা আগেই দেখা গেছে। পরেশ রাওয়াল, আশুতোষ রানা, নাগমা প্রমুখ কোভিড টিকা নিয়েও কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গতবছর জিৎ এবং মিমি চক্রবর্তী তাদের ‘বাজি’ ছবির শুটিংয়ের জন্যে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা অতিমারির কারনে শুটিং মাঝপথে ফেলে রেখে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল। দুর্গাপুজোর আগে বাকি শুটিং শেষ করেন তারা। ১৫ই এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ছবির নতুন গান। ছবি নিয়ে বেশ আনন্দিতই ছিলেন অভিনেতা। কিন্তু হঠাৎই করোনা আক্রান্ত হয়ে তাকে গৃহবন্দি হতে হয়। আপাতত তিনি এখন হোম কয়ারেন্টিনেই রয়েছেন।
এদিন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীও তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। কিছুদিন আগে আবীর চট্টোপাধ্যায় সপরিবারে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে টলিউডের ভরত কল, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস, জিৎ এবং শুভশ্রীর নাম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.