লন্ডন: ভারতে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিক দিকে তাকিয়ে এবার ব্রিটেনে ভারতীয়দের প্রবেশের উপর রাশ টানা হল। ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করল ব্রিটেন। সোমবার ভারত থেকে কোনও যাত্রীর ব্রিটেনে যাওয়ার উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা। দেশের ১০টি হোটেলকে কেয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। ভারত থেকে কোনও ব্রিটিশ ফিরলে তাঁদের আগে সেখানেই থাকতে হবে। তারপর তাঁরা তাঁদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।

স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক হাউস অফ কমনসে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্টের ১০৩টি কেস মামলা পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভারগই আন্তর্জাতিক যাত্রী। তিনি এও জানিয়েছেন, ভাইরাসের ওই ভেরিয়েন্টগুলি গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি এর মধ্যে অন্য কোনও বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় তা জানার চেষ্টা চলছে। যাতে চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিনের সাহায্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্ত তথ্য বিচার ও বিশ্লেষণ করেই ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুধু ভারতীয়দের উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তা নয়। ব্রিটেন বা আইরিশ নাগরিক নয় এমন কেউ যদি গত ১০ দিনের মধ্যে ভারতে গিয়ে থাকেন, তাদেরও ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরের সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারতে আসার কথা ছিল। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে। এই মাসের গোড়ার দিকেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতে যেভাবে করোনা বাড়ছে তাতে কি তাকে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে? সেই সময় বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। আর সপ্তাহের শেষের দিকেই জানা গেল করোনার কারণে ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে ব্রিটেন।

ভারতের সমস্ত যাত্রীবাহী বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল হংকং। সোমবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এবং পরবর্তী ১৪ দিন অর্থাৎ ২ মে পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে জনিয়েছে সে দেশের সরকার। মূলত ভারতে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ভয়ে ১৪ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হংকং। সেই কারণে এই তিন দেশ থেকে যেসব যাত্রীরা রবিবার রাতে ২ ঘণ্টার মধ্যে হংকংগামী ফ্লাইটে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।