প্রতি ঘম্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল ভারতে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৩,০১৩ জন এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনা সংক্রমণে। ১ এপ্রিল মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭২,৩৩০ এবং ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার সেই গড় এক লাফে বেড়ে হয় ১০,৮৯৯। প্রতি ঘণ্টায় ৬২ জনেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন মোট আক্রান্ত ছিল ২,৬১,৫০০ মামলা এবং ১,৫০১ জন মারা গিয়েছিল।
গত দুদিনের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিসংখ্যান
সোমবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণ হয় ২,৭৩,৮১০ এবং মৃত্যু হয় ১,৬১৯ জনের। সেইসঙ্গে ভারতের করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। সোমবার ভারতে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ১১,৪০৮ জন আক্রান্ত হন। এবং ৬৭ জন মারা যান। মঙ্গলবারের রিপোর্টও ছিল তেমনই। দেশে ২,৫৯,১৭০ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন। এবং ১,৭৬১ জনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেই হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১০,৭৯৮ জন আক্রান্ত হন এবং ৭৩ জন মারা যান।
মহারাষ্ট্রের পরিসংখ্যান একনজরে
মহারাষ্ট্রে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছে করোনার প্রকোপে। ১ এপ্রিল মহারাষ্ট্রে ৩৯,৫৪৪ জন এবং ২২৭ মৃত্যু হয়। হিসাব বলছে, ঘণ্টায় ১৬৪৭ আক্রান্ত এবং ৯ জন মারা যান ওইদিন। রবিবার মহারাষ্ট্রে প্রতি ঘন্টায় ২৮৮৯ জন আক্রান্ত এবং প্রতি ঘণ্টায় ২০ জন মারা যান। ওইদিন ৬৮,৬৩১ জন আক্রান্ত হন এবং ৫০৩ জনের মৃত্যু হয় মহারাষ্ট্রে।
দশটি রাজ্যে ৮২.৭৪ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে
সোমবার মহারাষ্ট্রে 58,৯২৪ জন কোভিড আক্রান্ত হন। ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়। প্রতি ঘন্টা ২,৪৫৫ জন সংক্রমিত ও ১৪ জনের মৃত্যু খবর আসে ওইদিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুসারে, দশটি রাজ্যে ৮২.৭৪ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে একদিনে। দিল্লিতে ২৪০ জনের দৈনিক মৃত্যুর খবর মিলেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠেছে ভারত
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও রাজস্থানে নতুন ৭৭.৬৭ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পরে উত্তরপ্রদেশে বেশি দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে, দিল্লিও ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে। ভারত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করে করোনাভাইরাস মামলায় অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।