ভয় ধরাচ্ছে দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ
এদিকে অনেকে ব্যক্তির শরীরের আবার ন্যূনতম করোনা উপসর্গ দেখতে না পাওয়া গেলেও টেস্টের রিপোর্ট আসছে পজেটিভ। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে আর একাধিক নতুন উপসর্গেরও দেখা মিলছে। তবে সবক্ষেত্রেই হাসপাতালের ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হোম আইসোলেশনেই সম্ভব চিকিৎসা। তবে কোন কোন নতুন উপসর্গের ক্ষেত্রে বিপদ সম্ভাবনা বেশি আসুন আজ সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে যেতে হতে পারে হাসপাতাল
এবারের করোনা সংক্রমণে বধিরতা বা শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাংসপেশীর ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণ, দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া, পেট খারাপ হওয়া এবং কনজেক্টিভাইটিস বা গোলাপী চোখের মতো অন্যান্য সমস্যাগুলি নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গোলাপি বর্ণের চোখ। এই ধরণের সমস্যা দেখা দিলেও চিকিৎসদের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয় ধরাচ্ছে কনজেক্টিভাইটিসের সমস্যা
চিনে করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিস হ'ল করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গ। গোলাপি চোখের মধ্যে লাল, ফোলাভাব দেখা দিচ্ছে এবং চোখে জল আসছে ক্ষণে ক্ষণে।এই ধরণের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। সেই ক্ষেত্রেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ-গলা শুকিয়ে গেলেও সাবধান হন
অন্যদিকে মুখগহ্বর বারে বারে শুকিয়ে যাওয়াও করোনার নতুন লক্ষণ বলে জানা যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে গলাও। অন্যদিকে মুখের ভিতর গালের উপর ঘা, ঠোঁটে ক্ষতের মতো ঘা হলেও সাবধান হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার নতুন মিউটেন্টের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই মারাত্মক ভাইরাস মুখের ভিতর মাসেল ফাইবার গুলোকে আঘাত করছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে ঘা।