নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে গ্রাস করেছে আমাদের দেশকে। দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারে পৌঁছে গেছে। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। বলিউড তথা বিশ্ব তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারতবর্ষের এরূপ সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের অনুরোধ করেছেন, তারা নিজেরদের পরিবার, বন্ধু – বান্ধন, প্রতিবেশী, সম্প্রদায় এবং যারা প্রথম সারির কর্মী তাদের কথা ভেবে অন্তত যেন নিজের বাড়িতে থেকেন।

বিদেশে থাকলেও প্রিয়াঙ্কা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার যা পরিস্থিতি তা লক্ষ্য করে বেশ ভীত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয় নিজের উদ্বেগ জাহির করেছেন। প্রিয়াঙ্কা টুইট করে লিখেছেন, ‘ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভীষণই মারাত্মক রূপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যে ছবি এবং ঘটনা আমার সামনে উঠে আসছে তা রীতিমত ভয় পাওয়ার মত। পরিস্থিতি এখন একেবারেই হাতের বাইরে চলে গেছে এবং আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে।’

প্রিয়াঙ্কা ভারতীয়দের উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেছেন, ‘দয়া করে আপনারা বাড়িতে থাকুন। আমার অনুরোধ কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেড়বেন না। নিজের এবং নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব সকলের কথা মাথায় রেখে দয়া করে বাড়িতেই থাকুন। সকল চিকিৎসক এবং প্রথম সারির কর্মীরাও এই একই পরামর্শ দিয়ে আসছেন।’

অভিনেত্রী কিছু সতর্কতা বিধিও শেয়ার করেছেন এই মারন ভাইরাস থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্যে। সেগুলি হল,

· প্রত্যেকে বাড়িতে থাকুন।

· নিজের পরিচিত সকলে বাড়িতে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হন।

· প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।

· আশেপাশের সবার সাথে কথা বলে তাদের বোঝাতে হবে যে এই পরিস্থিতকে একেবারেই তোয়াক্কা করলে চলবে না।

· আপনার পালা এলে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিয়ে নিন।

লন্ডনে থেকেও অভিনেত্রী ভারতীয়দের জন্যে জোর দিয়ে বলেছেন যেন তারা বাড়িতে থাকে, মাস্ক পড়ে এবং ছোট ছোট কিছু সাবধানতা বিধি পালন করে যাতে আমাদের স্বাস্থ ব্যবস্থার উপর কিছুটা হলেও চাপ কমে।

এবছর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে প্রিয়াঙ্কার ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’ ছবিটি। প্রিয়াঙ্কা এখন শুটিং করছেন তার পরবর্তী অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ ‘Citadel’ র জন্যে। এছাড়াও ‘Text For You’ এবং ‘The Matrix 4’ এও দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।