করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে দেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনার কাছে সহযোগিতার কথা বলেছেন। সেনা প্রধান জেনারেল নারাভানের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে দেশের করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে গোটা দেশে। একাধিক রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। মুম্বই ১৫ দিনের ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ৫ দিনের লকডাউন। এদিকে আবার উত্তর প্রদেশ পাঁচ শহরে নাইট কার্ফু লকডাউন জারি করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই কেন্দ্রের কাছে সেনা সাহায্য চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছিলেন বায়ুেসনা দ্রুত অক্সিজেন অন্য রাজ্য থেকে এনে দিতে পারে।
শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হাঁটতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত সেনা বাহিনীর সাহায্য নিতে হচ্ছে। সেনা প্রধান জেনারেল রানাভানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠক করেছেন এই নিয়ে। তাতে সেনা হাসপাতাল গুলিতে যতটা সম্ভব করোনা রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার কথা বলেছেন। সেনা বাহিনীর পক্ষে যতটা সম্ভব ডাক্তারি সাহায্য দেওয়া যায় সেটা তাঁরা করবেন বলে জানিেয়ছেন।
প্রতিরক্ষা দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারীকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ডিআরডি-র তরফ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িেয় দেওয়া হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে করোনা রোগীদের চিকিৎসার সব রকম বন্দোবস্ত করেছে ডিআরডিও। ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে করোনা রোগীদের। দিল্লিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে। একই বেডের মধ্যে গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা চলছে।