লন্ডন : কথায় বলে সেবায় পরমধর্ম। অপরকে সাহায্য, সেবা, দানধ্যান করলে নাকি মন ভালো থাকে। সৃষ্টিকর্তা প্রসন্ন হন। যদিও কথাটা কতটা সত্যি তা অবশ্য হলফ করে বলা কঠিন। তবে অপরকে সাহায্য করলে নিশ্চয় ভালো হয় তা বলাই বাহুল্য।

তবে সবাই যে সাহায্য করতে ইচ্ছুক এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন যারা অপরকে সাহায্য তো দূরে থাক, নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। আর আমাদের এই সমাজে এমন মানুষের সংখ্য নেহাত কম নয়।

আবার প্রচুর মানুষও আছেন যারা অন্যের বিপদে আগে পিছে না ভেবে অসহায় মানুষটির পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আর এই সাহায্য যে সব সময় আর্থিক ভাবে হবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের চারপাশে অনেকেই আছেন যারা আমাদের মানসিক ভাবে সাহায্য অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাওয়ার কাজ করে যান। আবার অনেকে নীরবে সাহায্য করতেও পছন্দ করেন।

তবে এই সাহায্যের ধরণ বা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, বর্তমানে ইয়ং জেনারেশনের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরা বেশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

আর এই প্রমাণই পেয়েছেন বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির ম্যাথিউ অ্যাপস বিভাগের গবেষকরা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি জার্নালে প্রকাশিত তথ্যে তাঁরা জানিয়েছেন যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের উপকার করার প্রবণতা বেড়ে যায়। যা তুলনামূলক ভাবে কম বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি লক্ষ্য করা যায় না। বরং প্রবীণ নাগরিকারাই অন্যকে সাহায্য করতে বেশিকরে এগিয়ে আসেন।

এই বিষয়ে ‘সাইকোলজিকাল সায়েন্সে’ প্রকাশিত গবেষণায় তাঁরা ১৮ থেকে ৩৬ বছর বয়সী ৯৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৫৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সী মোট ৯২ জনের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রিপোর্টে গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, একজন তরুণ বা তরুণীর তুলনায় একজন প্রবীণ নাগরিক কাজ করতে বা অর্থ উপার্জন করতে বেশি ইচ্ছুক। সেই তুলনায় অল্পবয়সীদের মধ্যে এই কাজ করার প্রবণতা অনেক কম। কাজের ধরণ কঠিন হলে বা মন পসন্দ না হলে পিছিয়ে আসছেন তাঁরা। অন্যদিকে উল্টো চিত্র ফুটে উঠেছে প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। তাঁরা যেকোনও ধরনের কাজ করতে যেমন ইচ্ছুক তেমনই সকলকে সাহায্য করতেও তাঁরা সচেষ্ট। তাহলে এবার ভাবুন তো এদের মধ্যে আপনি কোন দলের মধ্যে পড়ছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।