ওয়াশিংটন: একবিংশ শতাব্দীর ‘রাইট ব্রাদার্স ‘র সেই ‘কিটি হওক’ উড়ানের স্মৃতি আবারও ফিরিয়ে আনল নাসা। সোমবার, দুই মোটর বিশিষ্ট, সৌরচালিত হেলিকপ্টার,’ইনজেনুইটি’কে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে ওড়াল নাসা।

শনিবারই নাসার তরফে আজ ১৯ এপ্রিল সোমবার ইনজেনুইটি প্রথমবার মঙ্গলের মাটিতে ওড়ানোর কথা জাননো হয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই পৃথিবীর কাছে তথ্য আসা শুরু হবে।ভারতীয় সময় বিকেল ৩ টে ৪৫ নাগাদ উড়ান শুরু করে। ঠিক তার সাড়ে তিন ঘন্টার পর ছবি পাঠাতে শুরু করবে এই বিশেষ যান।

🚁 On Mon., April 19, our Ingenuity #MarsHelicopter makes its first attempt at flight. Watch live coverage from @NASAJPL beginning at 6:15am ET (10:15am UTC) as the team receives the first data & finds out if they’ve made history: https://t.co/JFEsGuAYbr pic.twitter.com/w6RjKWVHV7

— NASA (@NASA) April 19, 2021

ইনজেনুইটির অপারেশন লিডার টিম ক্যানহ্যাম আগেই জানিয়েছিলেন, হেলিকপ্টারের অবস্থা ভালো ছিল। ঠিকঠাকই ছিল ইনজেনুইটি। গত রাতেই তাঁরা 50 RPM স্পিন করেছেন। কপ্টারের ব্লেডগুলি খুব ধীরে ও সতর্কভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল সেগুলি কতটা হাওয়া কাটতে পারছে। রবিবার কপ্টারটির আনুভূমিকভাবে ট্রায়ালও হয়ে গিয়েছিল।

কিছুদিন আগেই হেলিকপ্টার ইনজেনুইটির ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। তবে এই হেলিকপ্টারের মঙ্গলে রাত্রিযাপন তার ক্ষেত্রে কেমন হবে সেটাই দেখার। যদিও এর মধ্যস্থ হিটার একে ৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখে। কিন্তু মঙ্গলে তাপমাত্রা রাতের দিকে মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে যায়। তাই ইনজেনুইটিকে নিয়ে চিন্তা রয়েছে বৈকি! পৃথিবীর মাটির চেয়ে মঙ্গলের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে উড়ে যাওয়া পৃথিবীতে উড়ানের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। এর মাধ্যাকর্ষণ থাকলেও তা পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র ১ শতাংশ।

পৃথিবীতে দিনের বেলা যতটা এনার্জি আসে মঙ্গলে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি প্রাপ্ত হয়। রাতে এর তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনও এর নিচেও নেমে যেতে পারে যা। যার ফলে সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক উপাদান ক্র্যাক করতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।