কলকাতা: ২ মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা। তবে এরাজ্যের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুর জেরে ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত হয়ে যায় এই দুই কেন্দ্রে। এবার এই দুই কেন্দ্রে নির্বাচনের নতুন দিন ঘোষণা করে দিল কমিশন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দুই প্রার্থীর।

রাজ্যজুড়ে করোনার করাল গ্রাস। ভোটের বাংলায় হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, নেতা। ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। ঠিক তার পরের দিনই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। সেই কারণেই ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এবার ওই দুই কেন্দ্রেই নতুন করে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ মে মুর্শিদাবাদ জেলার ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানা গিয়েছে।

ভোটের বাংলায় মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশে রাশ টানার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসক সমাজও এব্যাপারে বারবার সতর্ক করছে। তবুও একাধিক রাজনৈতিক দল এখনও নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সভা, মিছিলে উপচে পড়া ভিড়ে বিপদ বাড়ছে। কোভিড প্রোটোকল শিকেয় তুলে চলছে দেদার প্রচার। সভা, সমাবেশে আসা রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী, সমর্থকরা তো বটেই বিধি ভাঙতে দেখা যাচ্ছে নেতাদেরও। সব মিলিয়ে করোনাকালে বাংলায় এক ভয়ঙ্কর ছবি সামনে আসছে বারবার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের জন্য চলা প্রচার থেকেই বিপদ আরও বাড়ছে। একসঙ্গে বহু মানুষ এক জায়গায় বসছেন, দাঁড়াচ্ছেন। অনেকেরই মুখে থাকছে না মাস্ক। দূরত্ব-বিধি মানা তো কোন ছাড়। করোনা বিধি উপেক্ষা করেই রাজনৈতিক দলগুলির সভায় ঢল নামছে দলের কর্মী-সমর্থকদের। অজান্তেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। রবিবার সন্ধেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪১৯ জন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।