লন্ডন: কারাবও কাপের ফাইনালে আগে ম্যানেজার হোসে মোরিনহোকে ছেঁটে ফেলল টটেনহ্যাম হটস্পর৷ ইংলিশ প্রিমিয়র লিগের ক্লাবটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ১৭ মাসের মাথায় চাকরি হারালেন মোরিনিহো। রবিবার কারাবাও কাপের ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি’র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে টটেনহ্যাম৷
সোমবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে দিয়ে মোরিনিহো ও তাঁর কোচিং স্টাফের সঙ্গে চুক্তি শেষ করার কথা জানায় টটেনহ্যাম কর্তৃপক্ষ। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় কোনও দলকে কোচিং করাননি ৫৮ বছরের পর্তুগিজ ম্যানেজার৷ ২০১৯ সালের নভেম্বরে চার বছরের চুক্তিতে টটেনহ্যামের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মোরিনহো৷ কিন্তু মাত্র ১৭ মাসের মধ্যেই বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সফল ম্যানজারকে ছেঁটে ফেলল টটেনহ্যাম৷
টটেনহ্যাম হটস্পার ক্লাবের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি বলেন, ‘হোসে ও তার কোচিং স্টাফ কঠিন সময়ে ক্লাবের সঙ্গে ছিল৷ হোসে অত্যন্ত পেশাদার৷ অতিমারীর সময়েও দারুণভাবে দলকে সামলেছে৷ ব্যক্তিগত স্তরে আমি ওর সঙ্গে কাজ করাটা উপোভোগ করেছি৷ খারাপ লাগছে, এখন আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারব না৷ তবে ওর জন্য রাস্তা খোলা থাকবে৷ আমি ওকে ও কোচিং স্টাফকে ক্লাবের প্রতি তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানায়৷
মাওরিসিও পচেত্তিনোর উত্তরসূরি হিসেবে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিয়েছিলেন মোরিনহো৷ কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে কোনও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেননি নিজেকে ‘স্পেশাল ওয়ান’ দাবি করা এই পর্তুগিজ ম্যানেজার। তাঁর কোচিংয়ে গত মরশুমে প্রিমিয়র লিগে ছ’ নম্বরে শেষ করেছিল টটেনহ্যাম৷ এবারের অবস্থা আরও খারাপ৷ শেষ তিন ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে তারা।
গত মার্চে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় টটেনহ্যাম৷ দুই লেগের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামো জাগরেবের বিরুদ্ধে হারে মোরিনহোর দল। এর আগের এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় টটেনহ্যাম। ২১ বছরের কোচিং কেরিয়ারে বহু ক্লাবকে কোচিং করিয়েছেন মোরিনহো৷ ২০০০ সালে বেনফিকা দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর কোচিং কেরিয়ার৷ তারপর পোর্তো, চেলসি, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবকে কোচিং করিয়েছেন এই পর্তুগিজ কোচ৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.