বিজেপির ২০০-র বেশি আসন পাবে
অমিত শাহ বলেছেন, রাজ্যে যাঁরা নিজেদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক ভাবেন, তাঁরা বিজেপির পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর ওপরে ভরসা রাখছেন। এছাড়াও রাজ্যে ভাল ফল করা বিজেপির দায়ের মধ্যে পড়ে। একইসঙ্গে অমিত শাহ ফের একবার ২০০ আসনে জয়ের দাবি করেছেন। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে বিরোধিতা করছেন বলেও দাবি করেছেন অমিত শাহ।
বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তারা বাংলায় ক্ষমতায় আসলে সিএএ লাগু করা হবে। তাদের এই পদক্ষেপ মতুয়াদের সাহায্য করবে। বিজেপি ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অধিকাংশ মতুয়া তাঁদের ভোট দেবে।
নন্দীগ্রামে কেন হারবেন মমতা
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারবেন। কোন কারণে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম থেকে হারবেন, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, তৃণমূলের মেরুকরণের রাজনীতি, কাটমানি আর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় হবে।
তৃণমূল অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে
অমিত শাহ দাবি করেছেন, রাজ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা থেকে বৈদ্যুতিকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জলের মতো বিষয়ে। অমিত শাহ বলেছেন, সেই কারণে অনেকেই জবাব দিতে চান। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পিএম কিষাণ প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। যা করলে কৃষকরা অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৬ হাজার টাকা করে পেতেন। পাশাপাশি গরিবদের আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পে অংশ নিতে দেয়নি এই সরকার।
মহিলারা সমর্থন করছেন বিজেপিকে
তৃণমূল দাবি করে থাকে, মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের বড় ভিত্তি। এর জবাবে অমিত শাহ বলেছেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জয়ের পিছনে রয়েছেন মহিলারাই। তিনি বলেছেন, হিংসা থেকে গরিবি সবেতেই মহিলাদের ওপরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেপি গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুত, শৌচাগার পেয়েছে।