কলকাতা : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যকে তোলপাড় করে দিচ্ছে। রবিবারের তুলনায় তরাজ্যে করোনা টেস্ট কম হলেও সংক্রমণের হার সোমবার রবিবারের তুলনায় বেশি। তাই বলা যায় করোনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যাও আরও বাড়তো।

সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৬ জন। আর শুধু কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১১ জন। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা প্রথম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮০১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭ ও ৪৪০ জন। মালদাতে দৈনিক সংক্রমণ খুব বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মালদায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৫৩ জন। এদিকে, গত কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে আবার সোমবার একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের করোনা অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৫৩ হাজার ৪১৮। একইসঙ্গে এই ভাইরাস এখনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটাচ্ছে । গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ৩৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

এরই মধ্যে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চলছে} বাজারে, দোকানে, বাসে , মেট্রোতে অবাধে মানুষ যাতায়াত করছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কোরোনার দ্বিতীয় ঢেউটা প্রথমটার থেকে অনেক বেশি শক্তিইশালী। কিন্তু কোনওভাবেই রাজনৈতিক সভা, প্রচার, মিছিল বন্ধ হচ্ছে না। বিজেপি ও তৃণমূল পরস্পর পাল্লা দিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন জনবহুল জায়গায় না যেতে, তবে সেই নিষেধ মান্যতা পাচ্ছে কোথায় ?

তবে কলকাতা সোমবারও সংক্রমণে প্রথম স্থানে রয়েছে। কোনও ভাবেই কলকাতার সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। আসলে কাজের সূত্রে বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় বহু মানুষ রোজ আসেন। তাদের কে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে তার কোনও হিসেবে নেই। তাছাড়া কলকাতার এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বেপরোয়া ভাব সম্প্রতি বেড়ে গেছে। এদের কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অথবা মাস্ক ব্যবহার করলেও সেটা নাকের নিচে থাকছে। এই সব কারণে কলকাতা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে বলেই চিকিৎসকদের মত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।