মুখ্যসচিবদের নির্দেশ কেন্দ্রের
মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যে যেখানে করোনা পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ, সেইসব রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সেইসব রাজ্যে শিল্পে ব্যবহার্য অক্সিজেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। সেই অক্সিজেন যাতে করোনার রোগীদের জন্য যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাদ দেওয়া হয়েছে নির্দেষ্ট কিছু শিল্পকে
তবে এই তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শিল্পকে। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ শিল্প, পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি, ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ফুড অ্যান্ড ওয়াটার পিউরিফিকেশনের মতো বেশ কিছু শিল্পকে। এই আদেশ দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন ভারতে করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন ১০০০-১২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হতো। কিন্তু ১৫ এপ্রিল সেখানে লেগেছে ৪,৭৯৫ মেট্রিকটন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রে ১৬৪৬ মেট্রিকটন, উত্তর প্রদেশে ৭৫২ মেট্রিক টন, দিল্লিতে ৩৭৮ মেট্রিকটন অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে।
চালানো হবে অক্সিজেন এক্সপ্রেস
এদিন সকালেই ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সারা দেশে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করতে এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে তারা অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালাবে।
অক্সিজেনের অভাবের কথা জানিয়েছেন দিল্লি-মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
এদিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ওষুধের পাশাপাশি অক্সিজেনের কমের কথা জানিয়েছেন। এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছিলেন।