আগামিকাল থেকে রাজ্যের সব স্কুল ছুটি ঘোষণা, করোনা সংক্রমণের কারণে কড়া সিদ্ধান্ত

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। অন্যান্য রাজ্যে আগে থেকেই স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্কুল ছুটির কথা ঘোষণা করল। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রচারে রাশ টেনেছে নির্বাচন কমিশন। বামেরা ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় আর প্রচার করবেন না বলে জানিয়েছেন।

করোনা সংক্রমণ ভয় ধরাতে শুরু করেছে রাজ্যে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এবার ৭ থেকে ৮ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। তারমধ্যেই চলছে ভোট গ্রহণ। পাঁচ দফার ভোট হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আরও তিন দফার ভোটগ্রহন বাকি। করোনা পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় প্রচার আর করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন কেবল মাত্র ২৬ এপ্রিল কলকাতায় একটি প্রতিকী প্রচার করবেন তিনি। আর কলকাতায় কোন মিটিং মিছিল তিনি করবেন না। অন্য জেলা গুলিতে তাঁর যে মিটিং মিছিল রয়েছে সেগুলি ৩০ মিনিটের বেশি হবে না। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে আজই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বিশেষ বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে ভার্চুয়াল উপস্থিত থাকবেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারীকরা। তার আগেই সাবধানতা হিসেবে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দিেয়ছে রাজ্য সরকার। আগামিকাল েথকেই রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেলেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জাির করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলগুলি কী করবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও স্কুলে আসতে হবে না বলে জানা গিয়েছে।

করেনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যসরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে তিনি করোনা ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন চেয়েছেন। কেন্দ্রের কােছ ওষুধের সাহায্যও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ২টোয় সাংবাদি বৈঠক করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবেন মুখ্যসচিব।