পূরণ হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি গোটা দেশে শুরু হয় করোনা টিকাকরণ। প্রথম দফায় স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও পুলিশ কর্মী, হোমগার্ডস, রাজস্ব কর্মকর্তা, পৌরসভার সদস্য, কারাগার কর্মী, সিভিল ডিফেন্স, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং আধাসামরিক বাহিনীর মতো একাধিক প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্র নেয় কেন্দ্র। এদিকে বর্তমানে দেশজোড়া লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে বর্তমানে মাত্র ৩৭ শতাংশ কোভিড যোদ্ধাই করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন।
টিকাকরণের বেহাল অবস্থা দেখে আঁতকে উঠছেন সকলে
সূত্রের খবর, প্রথম দফায় কেন্দ্রের যেখানে লক্ষ্যমাত্র ছিল ৩ কোটি সেখানে মাত্র ৯১ লক্ষ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা করোনা টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই তালিকায় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৪৭ শতাংশ। এদিকে দেশের করোনা বিপর্যয় সামলানোর প্রধান দায়িত্বই যাদের তাদের টিকাকরণের এই অবস্থা দেখে আঁতকে উঠছেন সকলেই।
একনজরে ভারতে করোনা টিকাকরণ
এদিকে রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত গোটা দেশে ১২.২৬ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ৪৫ বছরের উর্ধে ১০.৮ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকার দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি যাটোর্ধ ৩৮.৯০ লক্ষ মানুষকে টিকার দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে করোনাকে বাগে আনতে এমনকী টিকাকরণে গতি আনতে গতকালই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে গোটা দেশ
এদিকে করোনা আবহের মাঝেই রাজ্যে রাজ্যে বড় মাত্রায় অক্সিজেন ঘাটতি দেখায় দিয়েছে। এদিনই অক্সিজেনের অভাবে ৬ রোগী মারা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। অন্যদিকে বেডের অভাব দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। নেই ভেন্টিলেটর। অন্যদিকে করোনার বাড়বাড়ান্ত ঠেকাতে এবার মহারাষ্ট্রের পর কার্ফু জারি হয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু তারপরেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ করোনাকে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।