গোট দেশজুড়ে নতুন মাত্রায় জাঁকিয়ে বসেছে মারণ করোনা। একটানা ৪০ দিন লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বেড়েছে গোটা দেশে। এমনকী গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার কবলে পড়েছেন ১ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। এমতাস্থায় করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কুম্ভমেলা ও রমজানে অংশগ্রহণকারীদের কাঠগড়ায় তুললেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধর্মীয় সমাবেশ অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগ মানুষই যথাযথ ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলেননি বলে দাবি করেন শাহ। আর তার জেরেই গোটা দেশে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত।
মানুষকে বুঝতে হত কুম্ভমেলা হোক কী রমজান, কোনোক্ষেত্রেই করোনা বিধিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। তাই বর্তমানে যখন গোটা পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে তখন আমরা সকলকে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালনের আবেদন জানাই। এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সাধু-সন্তদের কাছে কুম্ভমেলার পরিসর কমিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। এমনকী তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই ১২ থেকে ১৪টি সাধুদের আখড়া কুম্ভমেলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এমনকী সাধুরাও সাধারণ মানুষকে মেলায় আসতে নিষেধ করেন। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এটাই একমাত্র স্বস্তির বিষয় বলে মনে করেন শাহ।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকেও বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তাই করোনার গতিপ্রকৃতি বিচার করে এখন থেকে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে করোনা বিধি, লকডাউন, কার্ফু জারি করতে পারবে। এই ক্ষেত্রের কেন্দ্রের তরফে সম্পূর্ণ ভাবে সহায়তা করা হবে হবে বলেও জানান শাহ। এদিকে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। কার্ফু জারি হয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে।