নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণে কোনওভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার । আক্রান্তের নিরিখে যা দেশের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা।যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোরোনায় বলি হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জন। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯ জন। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই কম। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৩২৯ জন। গোটা দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৮ হাজার ৫২ লক্ষ ৫৬৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
অতিমারীকে হারাতে এইমসের চিকিৎসকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। জানা গিয়েছে, কোভিড মোকাবিলায় কতটা তৈরি রয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা ,সে বিষয়ে মন্ত্রী আলোচনা করবেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় ফের এক নয়া রেকর্ড গড়েছে রাজধানী দিল্লির সংক্রমণ। এই সময়ের মধ্যে দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৪৬২। অবস্থা এমন যে, প্রতি ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে একদিকে যেমন ২৫ হাজার ৪৬২ জন মানুষ সংক্রামিত হয়েছে, তেমনই এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জনের।কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আবার আজকে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
অপরদিকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অক্সিজেন ঘাটতির খবর আসছে। কেন্দ্র সরকার নয়টি নির্দিষ্ট শিল্প বাদ দিয়ে অন্যান্য সমস্ত শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছে। ২২ শে এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.