উত্তরাখণ্ড সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে হাসপাতাল থেকে গায়েব ২০ জন করোনা রোগী

দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ কেন্দ্র সরকারকে উদ্বেগে ফেলেছে। এরই মধ্যে আবার নতুন করে চিন্তা বাড়ালো ২০ জন করোনা রোগী, যারা উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার মুনি কি রেটি এলাকার এক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে। রবিবার এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ।

করোনা আক্রান্ত ২০ জন পলাতক

পুলিশের আইজি সঞ্জয় গুঞ্জয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌২০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে যারা কোভিড বিধি ভেঙে পালিয়েছে এবং অন্যদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। তাঁদের খোঁজে দল গঠন করা হয়েছে। আমরা রাজস্থান সরকারকেও এ বিষয়ে সচেতন করেছি কারণ তারা ওই রাজ্যের বাসিন্দা।'‌ এরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুম্ভ সফরে এসেছিল এবং করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়।

৫৭ সপ্তাহে সর্বাধিক কোভিড কেস

প্রসঙ্গত, ৫৭ সপ্তাহে (‌১১-১৭ এপ্রিল)‌ উত্তরাখণ্ড সরকার সর্বাধিক ১৩,৯২৪টি কোভিড কেস রিপোর্ট করেছে। ৫৬ সপ্তাহে মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ১০৪ হয়েছে, যেখানে শনিবার ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উত্তরাখণ্ডে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭,২৯৩-তে এবং এদিন ১৩টি জেলায় নতুন করে ২৬৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

মাস্ক না পরলে জরিমানা

মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াত রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনা নিয়ে তাঁর আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডাকেন। মাস্ক না পরার জরিমানা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে যাঁরা কোভিড বিধি মেনে চলবনে না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

বিয়ে সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে একশো জন

বিয়ে এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা কমিয়ে একশো করে দিয়েছে সরকার। এর আগে গত সপ্তাহে এই সংখ্যাটি ছিল ২০০। তবে এই নিয়ম থেকে ছাড় আছে হরিদ্বারে চলা কুম্ভ মেলা। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবারই আর্জি করেছেন যে প্রতীকী হিসাবে উদযাপন হোক কুম্ভ মেলা।

করোনার জেরে ভেঙে পড়ার মুখে দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা, ছয়দিনের লকডাউনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের