মনটা অনেকদিন ধরেই ঘুরতে যেতে চাইছে। করোনা, লকডাউন, কাজের চাপ সামলে এক প্রকার পাগল পাগল অবস্থা। কোনো কিছুই যেনো আর ভালো লাগছে না। তার ওপর ক্রমেই রুষ্ট হচ্ছেন সূর্যদেব। কলকাতার গরমে টেকা দায়। এখনও বিদায় নেয়নি করোনা ভাইরাস। তাই এই বাইরে বেরোলে এই তীব্র গরমে বিরক্তি বাড়াচ্ছে মুখের মাস্ক। ঘেমে নেয়ে একদম যাচ্ছেতাই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে জীবন সংগ্রামে লড়ে যাওয়ার রসদ পেতে আবহাওয়া পরিবর্তন জরুরি। সমুদ্রের হাওয়া খেয়ে, বুক ভরা অক্সিজেন নিয়ে নতুন করে বেচেঁ উঠতে মন চাইছে। এরম যখন পরিস্থিতি তখন আর চিন্তা নেই, চট করে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে ঘুরে আসুন মন্দারমণি সমুদ্র বিচ থেকে। উইকএন্ডের ছুটি যথেষ্ট এই মন্দারমণি বিচে ঘুরে আসার জন্য। মন্দারমণি বিচে জনসমাগম অনেক কম। তাই ভিড়ের চাপে আপনাকে পড়তে হবে না। নির্জনে নিভৃতে নিজের প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান।
কীভাবে যাবেন: বিভিন্ন ভাবে মন্দারমণি যাওয়া যায়। হাওড়া থেকে দীঘাগামী যে কোনো ট্রেন ধরে কাঁথি স্টেশনে নামুন। ওখান থেকে মন্দারমনি যাওয়ার রিজার্ভ বা শেয়ার গাড়ি পাবেন। কলকাতা থেকে মন্দারমণি বা দীঘা যাওয়ার বাসে করেও যেতে পারেন মন্দারমণি। আর নিজের যদি গাড়ি বা বাইক থাকে, তবে তো আর কোনো কোথায় নেই, দূরত্ব মাত্র ১৭১ কিলোমিটার। বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন ।
কোথায় থাকবেন: মন্দারমণিতে অনেক হোটেল ও রিসর্ট আছে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও মন্দ নয়। অনেক রিসোর্টে বনফায়ারের ব্যবস্থা আছে।
কোথায় ঘুরবেন: মন্দারমণিতে সে রকম কোনো দর্শনীয় স্থান নেই। সমুদ্রই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে রয়েছে বিনোদনের অনেক উপায়। আপনি চাইলে সমুদ্রে বোট রাইড বা সি বাইক রাইড ও করতে পারেন। এখানে অনেক ভাড়ার বাইক পাওয়া যায়, বাইক ভাড়া নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন আশে পাশের এলাকা। মন্দারমণই বিচে ভোরের সূর্যোদয় এক অপার্থিব দৃশ্য। মন্দারমণি বিচ লাগোয়া অনেক ছোট ছোট দোকান আছে। সেখানে সুন্দর রকমারী মাছ ভাজা পাওয়া যায়। বিচের ওপর দোকান গুলোয় বসলে জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল পায়ে লাগে। মাছভাজার সঙ্গে সমুদ্রের জল পায়ে লাগিয়ে বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দেওয়া যেনো স্বর্গসুখের অনুভূতি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.