নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস অর্থাৎ UPI পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। খুব শীঘ্রই ৫০ টাকা বা তার নিচে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করতে চলেছে বলে খবর। করোনাকালে UPI লেনদেনের পরিমান অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে ।
করোনার মহামারীর কারণে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া, প্রযুক্তিগত সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে ডিজিটাল লেনদেন অত্যাধিক বৃদ্ধি হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করেছে যে গেমিং কোম্পানিগুলোতে স্বল্প টাকার লেনদেনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লেনদেন আইপিএল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর আরোও বেড়েছে। যার কারণে এনপিসিআই এবং সদস্য ব্যাঙ্কগুলো আশঙ্কা করছে যে, লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সিস্টেমের সমস্যা হতে পারে।
এনপিসিআই চায়, গ্রাহক ও গেমিং কোম্পানিগুলো ইউপিআইয়ের পরিবর্তে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মতো স্থায়ী অর্থপ্রদানের পদ্ধতিগুলোকে টাকা লেনদেনের প্রধান উৎস হিসাবে ব্যবহার করুক। মনে করা হচ্ছে এই পদ্ধতিটি গেমিংয় কোম্পানি এবং গ্রাহকদের জন্য সমস্যা আনতে পারে, বিশেষ করে যেগুলো মাইক্রো ট্রান্সপোর্টের উপর ভিত্তি করে চলছে।মাসিক সাবস্ক্রিপশনের পরিবর্তে গেম খেলার জন্যে গ্রাহকরা অর্থ প্রদান করে।তার মানে বেশিরভাগ লেনদেন ১০০ টাকারও কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে ইউপিআইয়ের ব্যবহার অত্যাধিক হ্রাস পাবে। জানিয়েছেন, এনপিসিআই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে এবং বড় গেমিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ডিজিট্যাল পেমেন্টের উপর অত্যাধিক চাপ পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সমস্ত বড় লেনদেন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাঙ্ক ও এনপিসিআইয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, কারণ এখন ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেওয়া হয় না ।গেমিং কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, ইউপিআই হ’ল আমাদের অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহকদের জন্য অর্থ লেনদেনের পছন্দের জায়গা। আমাদের ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের লেনদেন ৫০ টাকারও কম।এটা এই শিল্পের জন্য একটা বড় ধাক্কা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.