বিধানসভা থেকে লোকসভা, একাধিক নির্বাচনে লড়েছেন বিজেপির রাহুল সিনহা। কিন্তু তাঁর ভাগ্য তাঁকে সাধ দেয়নি। একবারও জয়ের মুখ দেখেননি এই আদি বিজেপি নেতা। তা সত্ত্বেও ভোটের লড়াই থেকে পিছু হঠেননি তিনি। এবার হাবড়া থেকে লড়ছেন রাহুল সিনহা। বিপরীতে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাহুল সিনহার হারের রেকর্ড বদলাতে এবার বদ্ধপরিকর বিজেপি। স্বয়ং অমিত শাহ এদিন তাঁর জন্য রোড শো করছেন। ইতিমধ্যেই নিজের হলফনামা জমা দিয়েছেন রাহুল সিনহা। আর তাতে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও সামনে এসেছে।
হলফনামায় নিজের ‘আসল’ নাম তিনি জানিয়েছে বিশ্বজিৎ সিনহা। যদিও রাজনীতিতে রাহুল সিনহা নামেই তাঁর পরিচিতি। হলফনামায় রাহুল নিজের পরিচয় দিয়েছেন ব্যবসায়ী বলে। তাঁর স্ত্রী চাকরি করেন।
হলফনামায় রাহুল জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে রাহুল সিনহার আয় ছিল ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৯০ টাকা। তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা সিনহার আয় ছিল ১৩ লক্ষ ৭ হাজার ৫৭০ টাকা। যদিও রাজনীতিতে রাহুল সিনহা নামেই তাঁর পরিচিতি। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে রাহুল সিনহার আয় ছিল ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৯০ টাকা। তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা সিনহার আয় ছিল ১৩ লক্ষ ৭ হাজার ৫৭০ টাকা।
এই মুহূর্তে রাহুলের হাতে আছে নগদ ৮৮ হাজার ৪৯১ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৫৬ হাজার ৭২২ টাকা। রাহুলের নামে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আছে ৩১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৭৫ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৫৬ লক্ষ ৪ হাজার ৯০১ টাকা।
শেয়ারবাজারে রাহুল বিনিয়োগ করেছেন ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা। স্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন ১০ লক্ষ ২১ হাজার ২০৩ টাকা। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্প, জীবনবিমা ক্ষেত্রে রাহুলের বিনিয়োগ ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৪৮ টাকা। তাঁর স্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন ৩৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকা। রাহুলের কাছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা দামের সোনার গয়না আছে। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৮২ টাকার সোনার গয়না।
২০১৮ সালে ৫১ লক্ষ ৩৫ হাজার ১ টাকায় দক্ষিণ কলকাতায় রাহুল সিনহা একটি বাড়ি কিনেছেন। রাহুলের নামে কলকাতার রায়পুর রোডে জমিও আছে। ২০১৮ সালে ওই জমি তাঁরা কিনেছিলেন ৫১ লক্ষ ৩৫ হাজার ১ টাকা দিয়ে। জমির পরিমাণ ‘অজ্ঞাত’ বলে জানিয়েছেন রাহুল।
ব্যাঙ্কঋণ না থাকলেও রাহুল সিনহার বাইরে ঋণ আছে ১৫ লক্ষ টাকার। আর তাঁর স্ত্রীর নামে ২০ লক্ষ টাকার। সব মিলিয়ে রাহুল সিনহার অস্থাবর সম্পত্তি আছে ৮৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৪২ টাকার। তাঁর স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৩৯ টাকার।
রাহুলের নামে কোনও ব্যাঙ্কঋণ চলছে না। তাঁর স্ত্রীর নামে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬৮ টাকা এবং ১৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪১ টাকার ব্যাঙ্কঋণ চলছে। ব্যাঙ্কের বাইরে অন্যত্র রাহুলের নামে ঋণ আছে ১৫ লক্ষ টাকার। তাঁর স্ত্রীর নামে ঋণ আছে ২০ লক্ষ টাকার।
রাহুলের নামে অস্থাবর সম্পত্তি আছে ৮৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৪২ টাকার। তাঁর স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৩৯ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য তাঁরা জানাননি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.