তাশকেন্ত: এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পদকজয়ের অন্যতম সম্ভাবনা মীরাবাই চানু। উজবেকিস্তানের তাশকেন্তে ৪৯ কেজি ক্যাটেগরিতে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়ে শনিবার টোকিও যাত্রা নিশ্চিত করলেন মণিপুরের এই ভারত্তোলক। যদিও স্বর্ণপদক নয়, তাশকেন্তে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল মীরাবাই চানুকে।
শনিবার স্ন্যাচ বিভাগে ৮৬ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ১১৯ কেজি তুলে ব্রোঞ্জ জিতে নেন চানু। অর্থাৎ, দু’টি বিভাগ মিলিয়ে সর্বমোট ২০৫ কেজি ভার তোলেন তিনি। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে নয়া বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে এদিন স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তিগত রেকর্ডেও উন্নতি করেন চানু। ৬টি বাধ্যতামূলক যোগ্যতা অর্জন পর্ব পেরিয়ে আপাতত টোকিও যাত্রা নিশ্চিত হল মণিপুরি ভারত্তোলকের।
ক্লিন অ্যান্ড অ্যান্ড জার্ক বিভাগে এর আগে বিশ্বরেকর্ড ছিল ১১৮ কেজি। আর চানুর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১১৫ কেজি। ৪৯ কেজি ক্যাটেগরিতে শনিবারের আগে চানুর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ২০৩ কেজি (৮৮কেজি+১১৫কেজি)। ২০২০ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০৩ কেজি তুলেছিলেন কমনওয়েলথ গেমস এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী ভারত্তোলক। তাশকেন্তে এদিন ক্লিন অ্যান্ড জার্ক এবং সর্বমোট দু’টি ক্ষেত্রেই নিজের অতীত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেলেন চানু। তবে বিশ্বরেকর্ড গড়লেও এদিন চিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে স্বর্ন এবং রৌপ্যপদক হাতছাড়া করতে হল চানুকে।
স্ন্যাচ বিভাগে রেকর্ড ৯৬ কেজি এবং সর্বমোট ২১৩ কেজি তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়েন চিনের হাউ হিহুই। হিহুই’য়ের সোনা জয়ের পাশাপাশি রুপো জিতেছেন চিনেরই জিয়াং হুইহুয়া। হুইহুয়া সর্বমোট চানুর চেয়ে দু’কেজি বেশি অর্থাৎ, ২০৭ কেজি ভার তোলেন। তাশকেন্তে শনিবার ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১১৩ কেজি তুলে শুরু করেন চানু। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১১৭ কেজি তুলে ব্যক্তিগত রেকর্ড ছাপিয়ে যান মনিপুরি ভারত্তোলক। এরপর ১১৯ কেজি তুলে নয়া বিশ্বরেকর্ড গড়েন চানু।
মীরাবাই চানু টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পদকজয়ের অন্যতম দাবিদার। উত্তর কোরিয়া গেমস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেই প্রত্যাশা আরও তীব্র হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.